বছর দুই আগেই সামনে এসেছিল তথাগত মুখোপাধ্যায় আর দেবলীনা দত্তের বিচ্ছেদের খবর। ৯ বছরের বিবাহিত জীবন ভাঙা অনেকেই সেইসময় মেনে নিতে পারেননি। এখনও সাক্ষাৎকারে খোলাখুলিভাবে একে-অপরকে নিয়ে কথা বলেন তথাগত আর দেবলীনা। বিচ্ছেদের পর তাঁদের সম্পর্কের কি সমীকরণ তা জানাতেও দ্বিধা করেন না।
তথাগত-র সঙ্গে নাকি সম্পর্ক রয়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির নতুন মুখ বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের। টলিপাড়ার অনেক মানুষই এমন বলে থাকেন। আর দেবলীনা থাকছেন নিজের মায়ের সঙ্গে। জীবনের এই কঠিন সময়ে বেশ আগলে রেখেছেন তিনি মেয়েকে।
টুডেস স্টোরি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেবলীনার মা-কে বলতে শোনা গেল, ‘যখন বিয়েটা হয় ও আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল। যে এরকম একটা মানুষ আছে। যেহেতু বড় হয়েছে আমি বলেছিলাম, যেটা ভালো বুঝবে করো। মানুষ হিসেবে তথাগত মুখার্জী যথেষ্ট ভালো। যেসব কর্তব্য করার করেছে। ব্যাপারটা হচ্ছে ওদের, স্বামী-স্ত্রীর। আরেকটা যেটা দরকার সেটা হল ভালো থাকে। একসঙ্গে ভালো থাকছ নাকি আলাদা হয়ে ভালো থাকছো।’
প্রশ্নকর্তা এরপরই দেবলীনার মা-কে প্রশ্ন করেন, ‘বিয়ে একটা ইনস্টিটিউট। যখন সেটা থেকে বেরিয়ে আসা, বা সেই নিয়মগুলো না পালন করা…’। তবে এবারে কথার মাঝেই থামিয়ে দেন দেবলীনা। বলে ওঠেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়নি কিন্তু।’
অভিনেত্রীর মা আরও জানালেন, তিনি মেয়েকে বুঝতে না দিলেও অবশ্যই তা প্রভাব ফেলেছিল তাঁর মনে। সকালে ঘুম থেকে উঠে, আবার বিকেলে দেবলীনা কাজ থেকে ফেরার পর তিনি মেয়ের মুখটা খুঁটিয়ে দেখতেন। বোঝার চেষ্টা করতেন যে মেয়ে ঠিক আছে কি না! যদিও দেবলীনা জানালেন, মা তাঁকে কোনওদিন বুঝতে দেননি মাথায় কী চলছে। বরং অনেক শক্তভাবে থেকেছেন তাঁর পাশে।
পাশে বসে থাকা দেবলীনা বললেন, ‘এরকম সময়ে আমি অনেক পরিবারের লোকেদের ওলট-পালট হয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু মা আমার সামনে নিজেকে তুলে ধরেছে, যেন কিছুই হয়নি। আমি শক্তিটা আসলে মায়ের থেকেই এসেছে। আর এই সময়টা আমাকে সেটা বুঝতে সাহায্য করেছে। মা না থাকলে এই দুই বছরে আমি যা অর্জন করেছি, তা করতে পারতাম না। এটা হাজারে একটা মা বা বাবা পারে করতে।’
তথাগত-র সঙ্গে আর কি সম্পর্কে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে, এক ছাদের নীচে আর দেখা যাবে? জবাবে দেবলীনা জানালেন, ‘এটা একদম বলতে পারব না। কিছু মনে হলেও বলব না। কোনওদিন কি ভেবেছিলাম আমরা আলাদা হব। ২০২৪ কেন এই সাক্ষাৎকার শেষের পর কী হবে তাই জানি না। তবে এটুকু জানি, বিয়েটা আমরা করেছি সই করে ঠিকই। তবে এসব সই করে একসঙ্গে থাকা, বা ডিভোর্স ফাইল করা আমাদের কাছে কখনও গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাগজ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং মানসিকভাবে সইটা বা আলাদা হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি বলব, আমরা আলাদা হইনি কখনও।’
তবে তথাগত-র সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও মনে কোবনও রাগ পুষে রাখেননি। তাই তো এখনও বলতে পারেন, ‘আমার যেই যাপনটা তথাগতর সঙ্গে ছিল তা আমার জীবনের শ্রেষ্ট সময়। কোনওদিন কোনও অভিযোগের সুযোগই আমাকে তথাগত দেয়নি।’