মুক্তির কয়েকঘন্টার মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল দীপিকা পাড়ুকোনের ছপাক। পাইরেসির শিকার টিম ছপাক। মুক্তির কয়েকঘন্টার মধ্যেই অনলাইনে ছপাকের হাইডেফিনেশন(HD) প্রিন্ট ফাঁস হয়ে যায়। শুধু ছপাকই নয় রজনীকান্তের দরবারও অনলাইনে লিক হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে তামিলরকার্স। সরকারের বহুপ্রচেষ্ট সত্ত্বেও পাইরেসিতে লাগাম লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তামিলরকার্স সাইটটি ব্লক করা হলেও প্রক্সি সার্ভার নিয়ে খোলা সম্ভব হচ্ছে।
ছপাকের বক্স অফিস কালেকশনে পড় প্রভাব ফেলবে অনলাইনে ছবির হাই ডেফিনেশন ভার্সন ফাঁস হয়ে যাওয়ার এই ঘটনা।
বক্স অফিস ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, প্রথম দিনের কালেকশনের নিরিখে ছপাকের বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সকালে শুরুটা ভালোই করেছিল পরিচালক মেঘনা গুলজারের ছবি, বিকালের দিকে ছবির কালেকশন বাড়ার প্রত্যাশা করেছিলেন ট্রেড এক্সপার্টরা কিন্তু তেমনটা ঘটল না।
ট্রেড বিশেষজ্ঞদের আশা ছিল প্রথম দিন ছপাকের আয় দাঁড়বে ৫-৭ কোটির আশেপাশে। তার থেকে বেশ খানিকটা কম ছপাকের আয়। সেই কালেকশনে নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছে মুক্তির কয়েকঘন্টার মধ্যে অনলাইনে গোটা ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়া।
আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের বায়োপিক এই ছবি। ফিল্মের দীপিকার বিপরীতে দেখা মিলেছে বিক্রান্ত মাসিকে। ২০০৫ সালে দিল্লির খান মার্কেটে দীপিকার উপর অ্যাসিড হামলা করেছিল নাদিম খান সহ তিনজন। জীবনযুদ্ধে হার না মানা লক্ষ্মীর অদম্য লড়াই ছপাকে মূল বিষয়। এরপর থেকেই অ্যাসিড হানার বিরুদ্ধে সরব লক্ষ্মী। জনসচেনতা গড়ে তোলার জন্য বহু বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। অ্যাসিড বিক্রি বন্ধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন লক্ষ্মী।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে লক্ষ্মীর প্রসঙ্গে দীপিকা জানিয়েছেন, 'আমি যখন প্রথম এই চিত্রনাট্য শুনি.. আমি স্তম্ভিত ছিলাম.. এই কাহিনি আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল। সেটাই বোধহয় একটা ভাল ছবির মূল শর্ত। এই ছবির মূল উপজীব্য হল আশা। হার না মানা স্পিরিট। লক্ষ্মী এই সমাজের জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা'।