দেবলীনা কুমার কদিন আগেই একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন ফেসবুকে। আর সেই পোস্ট করেই তিনি তাঁর সমালোচকদের এক হাত নেন। কয়েক মাস আগেই তাঁকে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যে তাঁর নিজের গুণের বদল, তাঁর বাবার দাপট এবং খ্যাতির জোরেই নাকি তিনি কাজ পান। অন্যদিকে তিনি আবার উত্তম কুমারের নাতবউ বলে কথা। ফলে অনেক সময়ই তাঁকে তাঁর নিজের পরিচয়ের বদলে বাবা বা দাদা শ্বশুরের পরিচয়ে পরিচিত হতে হয়। এবার সেই বিষয়ে উত্তর দিতে গিয়ে তিনি একটি পোস্ট করেন, যার জেরে তাঁকে ফের করা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
দেবলীনা তাঁর পোস্টে বুধবার জানান তিনি আজ থেকে আট বছর আগে সেট পরীক্ষা দেন এবং তাতে প্রথম হন। সঙ্গে তিনি একটি ছবিও পোস্ট করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। এরপরই যত ঝামেলার শুরু। প্রথম প্রথম তিনি বাহবা পেলেও পরে নেটিজেনরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন সেট তো আজ পর্যন্ত কখনও অনলাইনে হয়নি। তবে উনি কীভাবে অনলাইনে সেট পরীক্ষা দিলেন? এক ব্যক্তি তো লিখেই দেন, 'অভিনেত্রী মহাশয়া নিজের ক্যাপশনে অনলাইনে কেমন ভাবে পরীক্ষা হয় তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কিন্তু বিষয় হল আজ অবধি ইতিহাসে কখনও SET অর্থাৎ স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট অনলাইনে হয়নি। এবছরও সেই পরীক্ষা অফলাইন মোডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিনেত্রী ম্যাডাম আপনি অনলাইনে SET পরীক্ষা কী করে দিয়েছিলেন ?'
অনেকে আবার তাঁর পোস্ট করা ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য সেট পরীক্ষার রেজাল্ট তো কোনও নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে প্রকাশিত হতে পারে না। তাহলে এটা কীভাবে হল?
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁকে নিয়ে চরম ট্রোলিং শুরু হয়। পরে অবশ্য অভিনেত্রী স্বীকার করে নেন তাঁর ভুল হয়েছে। এটা সেট নয়, রেট পরীক্ষার ফলাফল। তিনি এক ব্যক্তির প্রোফাইলে কমেন্ট করে জানান, '৮ বছর আগে দিয়েছিলাম। ভুল হয়েছিল লেখার সময়। ওটা রেট হবে। এখন ঠিক করে দিয়েছি। ভীষণ দুঃখিত।' তাঁকে এক জনৈক ব্যক্তি 'লিডিং অ্যাকট্রেস' বলে খোঁচা মারলে তিনি তাঁর উত্তর দিয়েও বলেন, 'আমি লিডিং অভিনেত্রী নই। প্রচণ্ড ভাবে স্ট্রাগলিং।'