করোনার কাঁটা দেশজুড়ে। আগের বছরের মতো এবারেও করোনার ভয়ে পুজোর তোড়জোড় এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। এদিকে হাতে রয়েছে আর মাত্র ২ মাস। ক্লাব থেকে শুরু করে বনেদি বাড়ি, সকলেই এবারও আগেরবারের মতোই কম বাজেটে শুরু করতে চলেছে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি। তবে, পুজোর সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বৃদ্ধি করার অভিনব প্রয়াস নিল বাগুইআটি-র অশ্বিনী নগর বন্ধুমহল ক্লাব। দুর্গা মায়ের মুখেও পরানো হল মাস্ক। যদিও তা আমার-আপনার মতো কাপড়ের নয়, সোনার। এবারের পুজোয় ঠাকুরের অন্যতম আকর্ষণও এই মাস্ক-ই। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমার মুখে সোনার এই মাস্ক পরিয়ে দেন রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি। সেসময় উপস্থিত ছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিতও।
প্রয়াত থিম শিল্পী অরুণ পালকে শ্রদ্ধা জানাতে বন্ধুমহল ক্লাবের এবারের থিম ‘অরুণ’। পাশাপাশি এটি মহামারীর অন্ধকারের কালো মেঘ কেটে নতুন সূর্যোদয়ের বার্তাও দেবে। কোভিড পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যু হয় অরুণ পালের। তাই সহকর্মী সম্রাট ভট্টাচার্যের ভাবনায় এই থিম। পুজোর পাশাপাশি আশেপাশের মানুষের মধ্যে করোনা সচেতনাতা বাড়ানোরও চেষ্টা চালানো হচ্ছ। তাই মায়ের মুখে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাস্ক। মায়ের হাতে অস্ত্রও বদলে গিয়েছে। সার্জিক্যাল মাস্ক, থার্মোমিটার, অক্সিমিটার, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জের মতো অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন দুর্গা। করোনা অসুর বধ করাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।
বন্ধুমহল ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারে বেশ ছিমছাম করেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। 'শুভ ধাতু' হিসেবে সোনার ব্যবহার করা হয়েছে মাস্কে। ইতিমধ্যেই ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকায় অক্সিজেন পার্লার, সেফ হোম খোলা হয়েছে। সেসব খরচ সামলেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার মানুষদের করোনা চিকিৎসায় হাত বাড়ানো তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।