কোনও গ্ল্যামারাস নায়িকা নন, এবার এক্কেবারে ‘মাছওয়ালি’ হয়ে ধরা দেবেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। থুড়ি ঐন্দ্রিলা নন, এখন তিনি ‘মুসকান’। আর ঐন্দ্রিলার এই ‘মুসকান’ হয়ে ওঠার পিছনে আর কেউ নন, রয়েছেন খোদ ‘মির্জা’ অঙ্কুশ। হ্য়াঁ, ঠিকই ধরেছেন ‘মির্জা’ ছবির জন্য়ই এবার ‘মাছওয়ালি’ হয়ে উঠছেন ঐন্দ্রিলা। যদিও তার জন্য কিছু কম কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে না অভিনেত্রীকে। আর সে বিষয়টিই Hindustan Times Bangla-কে খোলসা করে জানালেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন।
‘মির্জা’র ‘মুসকান’কে তো দেখলাম, সে ঠিক কেমন?
ঐন্দ্রিলা: হ্যাঁ, এক্কেবারেই সালোয়ার কামিজ পরা সাদামাটা একটা লুক। তবে মুসকানের এই লুকটার পিছনে আরও কিছু এক্সপেরিমেন্ট আছে। যেটা বার হয়েছে সেটা তো আমাদের সেটের লুক। চরিত্রটা নিয়ে এখনই খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলত, এধরনের চরিত্র আমি কখনই করিনি।
'মুসকান'-এর লুক শেয়ার করে লেখা হয়েছিল ‘BRUTALITY.. CRUELTY.. VIOLENCE.. AND BETRAYAL’। এই শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল কেন?
ঐন্দ্রিলা: আসলে 'মির্জা' হল অ্যাকশন ছবি। আর আমি 'মুসকান'ও সেই দুনিয়ার-ই একটা চরিত্র। এখানে একেবারেই আমাকে অন্যরকমভাবে দেখতে পাবেন। আর কিছু বলব না (হাসি)…
‘মাছওয়ালি’র মুসকান হয়ে উঠতে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন?
ঐন্দ্রিলা: সেই প্রস্তুতি তো নিতেই হচ্ছে। এটার জন্য আমি ৬-৮ মাস প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে সবটা আমি এখনই ফাঁস করতে পারব না। মুসকান হল মাছের বাজারে থাকা অনেক ছেলে, মহিলাদের মধ্যে একজন সুন্দরী। তবে ওই মাছওয়ালি হওয়ার জন্য যে ধরনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দরকার, সেটার জন্য নিজেকে তৈরি করেছি। কারণ, মাছের বাজারে বসেই আমায় শ্যুট করতে হবে। যাতে মাছ বাজারের গন্ধটায় অসুবিধা না হয়, তার জন্য আমি বেশ কিছু দিন মাছ বাজারে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে প্রথমে আমি প্রায় বমি করে ফেলি, তারপর সেটা ঠিক হয়ে যায়। কারণ ওখানেই শ্যুটিং হবে। তাই এটার সঙ্গে আমায় অভ্যস্ত হতেই হত। এগুলি সবই চরিত্রের জন্যই করেছি।
'মির্জা'র প্রযোজনা তো পুরোটাই অঙ্কুশের?
ঐন্দ্রিলা: হ্যাঁ, পুরোটাই অঙ্কুশের প্রযোজনা। আগে অন্য কয়েকজনের থাকার কথা ছিল। তবে বেশ কিছু সমস্যার কারণে সেটা হয়নি। এটা বুঝেছি যে প্রযোজনা মোটেও সহজ নয়, বেশ কঠিন। তবে নিজের টাকায় যা খুশি করা যায়, তাতে কাউকে উত্তর দিতে হয় না। সেই কারণেই অঙ্কুশ সবটা নিজের মতো করে করতে চেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব তো রয়েছেই, যাদেরকে বিশ্বাস করেছি, ঠকেছি। তবে এ ক্ষেত্রে লাভ, লোকসান, যাই হোক, কাউকে জবাবদিহি করতে হবে না।
'মির্জা'র শ্যুটিংয়ের প্রথম দিন শ্রীকান্ত মোহতা, অশোক ধানুকা, অতনু রায় চৌধুরীরা তো এসেছিলেন…
ঐন্দ্রিলা: আসলে এই তিন ব্যক্তিত্বই তো ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পিলার। তাই তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওঁরা এসেওছিলেন। কারণ সকলেই অঙ্কুশকে ভালোবাসেন। ওদের হাত ধরেই অঙ্কুশের কেরিয়ারের শুরু। শুধু রানেদা ( নিসপাল সিং রানে) আসতে পারেননি। অন্য দিন আসবেন বলেছেন। শ্রীকান্ত মোহতা, অশোকজি, অতনু রায়চৌধুরী এদের কারওর সঙ্গেই অঙ্কুশের কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ওঁরাই অঙ্কুশকে তৈরি করেছেন। অঙ্কুশ শুধু ওর স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছে। ওঁরা সকলেই অঙ্কুশকে উৎসাহ দিয়েছেন। প্রযোজক হিসাবে অঙ্কুশকে গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন। কোথায় টাকা ঢালবে, কোথায় নয় ইত্যাদি। কারণ ও (অঙ্কুশ)নতুন। ওঁরা ওকে আশীর্বাদ করেছেন। আমরা খুশি যে ওঁরা প্রত্যেকে এসে আমাদের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে ছিলেন, কাজ দেখেছেন।
অঙ্কুশের বাবা-মাও তো ছিলেন…
ঐন্দ্রিলা: আমি অঙ্কুশকে বলেছিলাম, তোমার জীবনের সব থেকে কাছের দুই মানুষ - তোমার মা-বাবাকে তুমি শুরুর দিনে রাখো। কারণ, সব ইতিবাচক বিষয় তো তাঁদের দিয়েই শুরু হয়।
অনেকেই ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োর নিচে লিখেছেন ‘কাকিমা তো বেশ সুন্দরী!’ মানে অঙ্কুশের মা…
ঐন্দ্রিলা: (হাসি)। হ্যাঁ, কাকিমা বেশ সুন্দরী আর সুন্দরী বলেই অঙ্কুশ এই একটু সুন্দর হয়েছে (মজা করে)….
প্রসঙ্গত, ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়ার কথা অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার 'মির্জা'।