ফের বিনোদন দুনিয়ায় অপরাধ জগতের ছায়া। ২৭ বছরের মডেলকে খুন করার অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। মৃত মডেলের নাম দিব্যা পাহুজা। গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলে খুন করা হয় ওই মডেলকে। খুনের দায়ে অভিযুক্ত হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং।
তবে শুধুই খুন নয়, অভিযোগ আরও গুরুতর। অভিযোগ, খুনের পর দিব্যার দেহ পাচারের জন্য এক সহযোগীকে ১০ লক্ষ টাকা দেন ওই হোটেল মালিক। হোটেলের CCTV ফুটেজে দেখা যায় দিব্যার দেহ টেনেহিঁচড়ে হোটেল থেকে বের করা হচ্ছে। অভিজিৎ সহ খুনের সন্দেহভাজনদের একটা নীল বিএমডব্লিউ গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গেই ছিল দিব্যার মৃতদেহ। মঙ্গলবার রাত ১০.৪৫ মিনিট নগাদ তিনজন অভিযুক্তকে দিব্যার দেহ চাদরে মুড়ে হোটেল থেকে বিএমডব্লিউতে তুলতে দেখা যায়।
CCTV ফুটেছে দেখা যায় ২ জানুয়ারি রাতে হোটেলের ১১ নম্বর ঘরের দিকে যেতে দেখা যায় অভিজিৎ সিং সহ এক পুরুষ ও মহিলাকে। এরপরই সেই ঘরে ঢুকে দিব্যাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-সেবার শ্যুটিংয়ে সকলের সঙ্গে ভীষণই খারাপ ব্যবহার করছিলেন, মনোজই ছিলেন যন্ত্রণার কারণ: হনসল
ঘটনার তদন্তে নেমে হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যেই প্রধান সন্দেহভাজন অভিজিৎ সিং সহ মোট তিনজনকে (অন্য দু'জনকে প্রকাশ এবং ইন্দ্ররাজ) মঙ্গলবার গ্রেফতার করে গুরুগ্রাম ক্রাইম ব্রাঞ্চ। প্রকাশ ও ইন্দ্ররাজ দুজনেই অভিজিতের হোটেলে কাজ করতেন বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, গুরুগ্রাম পুলিশ, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে এই হত্যার ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ক্রাইম ব্রাঞ্চের বেশ কয়েকটি দল মৃতদেহটি সনাক্ত করতে পাঞ্জাব এবং অন্যান্য অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে। দিব্যার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ সিং সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ গাডোলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিব্যা। ২০১৬ সালে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সন্দীপের। এরপরই দিব্যার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সন্দীপের ভাই-বোন এবং অভিজিৎ সিং-এর নামে। অভিযোগ ছিল ওঁরা ষড়যন্ত্র করে তাঁদের মেয়েকে খুন করতে চাইছে। এরপর থেকেই নাকি দিব্যার উপর রাগ তৈরি হয়েছিল অভিজিৎ সিং-এর। এর আগে সন্দীপের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন দিব্যা। গতবছরই তিনি জামিনে মুক্তি পান।