চলতি সপ্তাহে বিগ বসের ঘরে ঝড় তুলে দিয়েছেন ভিকি-নিখিল-মুনাওয়ার-অঙ্কিতা-ঐশ্বর্য-মানারা-রা। তবে তার আগের সিজনে অর্থাৎ বিগ বস ১৬-র সবচেয়ে চর্চিত প্রতিযোগী ছিলেন সাজিদ খান। মি টু কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকে একেবারে একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক। IFTDA থেকে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাউজফুল ৪ থেকে।
গত সিজনে বিগ বস ১৬-এর ১৫ জানুয়ারির এপিসোডে, ১০৬ দিন ঘরের ভিতরে থাকার পর, সাজিদ খান তার চুক্তি শেষ হওয়ায় পর শো থেকে বেরিয়ে যান। চলচ্চিত্র প্রযোজনার কাজ শুরু করবেন বলে সেইসময় বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিগ বসের ঘর থেকে।
বিগ বসে সেই সময় প্রবেশ করেছিলেন ফারহা খান। ভাই সাজিদের সঙ্গে দেখা করতে পারিবারিক সপ্তচাহে। সাজিদের বিগ বসের বন্ধুরা অর্থাৎ 'মন্ডলি'-কেও বাড়়িতে ডেকে পার্টি করেছেন।
সম্প্রতি, ভারতী সিং এবং হর্ষ লিম্বাচিয়ার সঙ্গে একটি চ্যাট শো-তে কথা বলার সময় ফারহাকে বলতে শোনা যায়, সলমনের রিয়েলিটি শো-এর ঘরে আসা অতিথিরা সাজিদের সঙ্গে ভাল আচরণ না করায় তিনি মর্মাহত হতেন।
ফারহা বলেন, ‘এই ব্যাপারে মন খুলে কথা বলাও তো খুব চাপের। প্রথম এক দো মাস এত ঝামেলা হয়েছিল। অতিথিরাও যারা যাচ্ছিলেন, তারাও সাজিদের সঙ্গে কথা বলত না। আমার এত খারাপ লাগত। ও তো আপনাদের ইন্ডাস্ট্রিরই একজন। একটা হ্যালো বলতে কী যায় আসে। কী না, ওদের ম্যানেজার না করেছে। সাজিদের সঙ্গে কথা বললে ট্রোল হতে পারে বলে। তবে হ্যাঁ কিছু তারকা-অতিথি ছিলেন যারা নিজেরা এগিয়ে গিয়ে সাজিদের সঙ্গে কথা বলতেন।আমি এটা সারা জীবন মনে রাখব।’
ভারতে হওয়া মি টু ক্যাম্পেনের সময় বলিউড থেকে নয়জন যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন সাজিদের উপর। ২০১৮ সালের কথা সেটা। তারপরই সাজিদের উপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। #MeToo বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে একপ্রাকর কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায় সাজিদের।