মুম্বইয়ে ‘শয়তান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে নির্মাতাদের তরফে। বিকাশ বহাল পরিচালিত ‘শয়তান’-এর মুক্তির তারিখ ৮ মার্চ। ছবি মুক্তির তিন দিন আগে থেকে টিকিটের প্রি-বুকিংও চালু করা হয়েছিল। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর মাধবন। স্ত্রী জ্যোতিকার সঙ্গে সুরিয়ার মতো অভিনেতা রয়েছেন এই ছবিতে।
ছেলে যুগকে নিয়ে ‘শয়তান’-এর স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির হয়েছেন অজয়। এ দিন ভেন্যুর বাইরে বাবা-ছেলের জুটি পাপারাৎজ্জির সামনে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন। ছবির স্ক্রিনিংয়ের বাবার সঙ্গে যুগের উপস্থিতি দেখে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। একাংশ নেটিজেনের মন্তব্য মা কাজলের মতো চোখ পেয়েছে ছেলে যুগ। এমনকী মায়ের মতোই প্রণোচ্ছ্বল সে। বলিউডের খুব অনুষ্ঠানে দেখে মেলে ছোট্ট যুগের। লাইমলাইট থেকে মূলত দূরেই থাকে অজয়-কাজল পুত্র। আরও পড়ুন: আইভরি লেহেঙ্গায় ঝলমল করছেন ইশা, গা ভর্তি হিরের গয়না, কোন ডিজাইনারের পোশাক পরেছেন
নিজে খ্যাতনামী অভিনেত্রী। স্বামী অজয় দেবগন। বাবা-মা দু’জনেই তারকা হওয়ার সুবাদে তাঁদের সন্তানরা ছোট থেকেই প্রচারের আলোয়। কাজলের দুই সন্তান— নিসা ও যুগ। মেয়ে নিসা বড়, ছেলে যুগ এখনও নাবালক। ২০ বছরের তরুণী কাজল-কন্যা নিসা। পার্টি করতে খুব ভালোবাসেন কাজল-কন্যা। বিভিন্ন সময় পার্টি থেকে টলমল পায়ে বেরোতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও আবার পোশাকের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই তারকা-কন্যা।
ছেলে যুগ তাঁর কাছে যতটা গর্বের, ঠিক ততটাই তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মেয়ে নাইসার জন্য়ে। কখনও নাইসা দেবগণের পার্টি, কখনও আবার পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠটা, কাজলকে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মা হওয়া একটা ফুলটাইম চাকরি।
এক সাক্ষাৎকারে কাজল তাঁর সন্তানদের নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। দুই সন্তানকে কেমন শিক্ষা দিয়েছন, তা-ও জানান অভিনেত্রী। সন্তান যখন বড় হয়, তখন বন্ধু হয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করাই অভিভাবকের করণীয়। কাজলের কথায়, ‘আমার দুই সন্তানের কেউই কোনও কিছুতে ভয় পায় না। তারা ভয় পায় না জীবনে নতুন কিছু করতে, তাদের ইচ্ছেপূরণ করতে। কারণ ওরা জানে, ওদের মা রয়েছে পিছনে। সেই আশ্বাসটা আমিই দিয়েছি ওদের। আমি আছি তোমাদের পিছনে, কোনও কিছুতে ভয় পেও না।’
কাজল বরাবরই কর্মরত মা। তবে সন্তান হওয়ার পর কেরিয়ার থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে হাতে গোনা ছবি করতে দেখা যেত তাঁকে। আর সেই প্রসঙ্গে একবার অজয় দেবগণ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি কাজলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।