ফিরদৌস আহমেদ এবারের বাংলাদেশের নির্বাচনে লড়েছেন এবং জিতেওছেন। তিনি সেই নির্বাচনের আগে যখন ভারতে এসেছিলেন তখন তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর হয়ে প্রচার করবেন তাঁর বন্ধু ঋতুপর্ণা। তাঁর সেই বক্তব্য এবং ভারতে এসে বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রচার করায় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এই দেশে তাঁর কাজের ক্ষেত্রেও একাধিক বাধা তৈরি হয়। তবে এবার একটি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ওপারে গিয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর সেখানে গিয়েই তাঁকে আওয়ামী লিগের প্রতীক নৌকা নিয়ে ফিরদৌসের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। এবার ওপার বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা জানালেন তিনি চান ঋতুপর্ণা যেন রাজনীতিতে আসেন। তাঁর সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে?
রাজনীতিতে যোগ দেবেন ঋতুপর্ণা?
ফিরদৌস এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর এই প্রথম বাংলাদেশ গেলেন ঋতুপর্ণা। গত বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে গিয়ে পৌঁছেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেখানে গিয়েছেন তিনি সুচিত্রা সেন স্মরণে সুচিত্রা সিং আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নিতে। এই অনুষ্ঠানটি ২০ এবং ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে সেটা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে গিয়েই বন্ধুর সঙ্গে কুশল বিনিময় সেরে, শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি নৌকো উপহার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে জন্মেও বিরাট অনুষ্কার পুত্র পাচ্ছে না ব্রিটিশ নাগরিকত্ব! কেন?
আরও পড়ুন: 'আমি বুঝিনি আমি মূর্খ', শ্রীময়ীকে বিয়ের আগেই এমন আত্মোপলব্ধি কেন কাঞ্চনের?
এদিন তারপরই ফিরদৌস তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'ঋতুপর্ণাকে আমি গত ২৫ বছর ধরে চিনি। ওকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। ও ভীষণ মানুষকে নিয়ে ভাবে, মানুষের পাশে থাকে। মানব সেবার জন্য যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন সব আছে ওর। আমি ওর থেকেই শিখেছি। ওর কাজ আমায় প্রভাবিত করেছে।'
আরও পড়ুন: নায়কের খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেননি বলেই ফিরিয়েছেন খাদানের অফার! বনি বললেন, 'আমি আসলে...'
তিনি এদিন আরও বলেন, 'আমি চাইব মানবকল্যাণের জন্য যেন তিনি আমার দেখানো পথেই হাঁটেন। রাজনীতিতে আসেন। আমাকে যদি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষমতাটুকু না দিতেন তাহলে কিন্তু আমি মানুষের জন্য কাজ করতে পারতাম না। তাই আমি চাই ভারত সরকার যেন এই বিষয়টা বিবেচনা করেন। তাহলে আমরা দুই বন্ধু মিলে ভারত বাংলাদেশের মৈত্রীর সম্পর্ক আরও ভালো করতে পারব।' তবে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ঋতুপর্ণা।