করোনা পরবর্তী বাজারে যেখানে মেরেকেটে ১০০ বা ১৫০ কোটি তুলতে হিমশিম খাচ্ছে আজকের হিরোরা, সেখানে ৪০০ কোটির ব্যবসা করে ফেললেন সানি দেওল। তাঁর হপ্তাদুয়েক আগে রিলিজ হওয়া সিনেমা গদর ২-র সাফল্য ফাটাফাটি। ১১ অগস্ট এসেছিল প্রেক্ষাগৃহে। আর তখন থেকেই হলে নেমেছিল দর্শকদের ঢল। যা দু সপ্তাহ পার করে এসেও কমার নাম নিচ্ছে না। সানি-আমিশা পাটেলের ছবি ভারতের হাজারে ব্যবসা করে ফেলল ৪০০ কোটির।
তবে সোমবারই গদর ২ ভেঙে দিয়েছিল আমির খানের এতদিন ধরে রাখা একটি রেকর্ড। ট্রেড অ্যানালিসিস্ট তরণ আদর্শ টুইটারে লিখেছিলেন, ‘গদর ২-এর অপ্রতিরোধ্য গতি, থামার নাম নিচ্ছে না দ্বিতীয় সোমবারেও। টপকে গেল দঙ্গল ২-এর রোজগারকে। … এবারে চতুর্থ সবথেকে বেশি উপার্জিত বলিউড সিনেমা। দ্বিতীয় সপ্তাহের আয়: শুক্রবার ২০.৫০ কোটি, শনিবার ৩১.০৭ কোটি, রবিবার ৩৮.৯০ কোটি, সোমবার ১৩.৫০ কোটি। মোট আয় ৩৮৮.৬০ কোটি।’
অন্য দিকে, sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে মঙ্গলবার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে ছবি ব্যবসা করেছে ১১.৫০ কোটির। আর যা যোগ করলে সানির ছবি পেরিয়ে গেল ৪০০ কোটির ঘর। তাও মাত্র ১২ দিনে।
বর্তমানে দেশে সবথেকে বেশি উপার্জিত হিন্দি ছবির তালিকায় প্রথমেই আছে শাহরুখ খানের পাঠান। যা ব্যবসা করেছিল ৫২৪.৬২ কোটির। এরপর বাহুবলী ২ (হিন্দি) ৫১০.৯৯ কোটি, কেজিএফ ২ (হিন্দি) ৪৩৪.৭০ কোটি, গদর ২ ৪০০.১০ কোটি, দঙ্গল ৩৮৭.৩৮ কোটি।
সোমবার ‘গদর ২’ নিয়ে আরও একটি রেকর্ড করেন তরণ। লেখেন, ‘গদর ২ ইতিহাস গড়ল। তৈরি করল নতুন রেকর্ড। ছবি মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা বলিউড ছবিগুলিকে পিছনে ফেলে দিল বেশ খানিকটা। দ্বিতীয় সপ্তাহান্ত (শুক্র থেকে রবি): গদর ২ ৯০.৪৭ কোটি, পাঠান ৬৩.৫০ কোটি, বাহুবলি ২ ৮০.৭৫ কোটি, কেজিএফ ২ ৫২.৪৯ কোটি, দঙ্গল ৭৩.৭০ কোটি, সঞ্জু ৬২.৯৭ কোটি।’
২০০১ সালের হিট সিনেমা গদর-এর সিক্যুয়েল গদর ২। যেখানে সানি দেওলের চরিত্রের নাম তারা সিং, পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। আর আমিশাকে দেখা গিয়েছিল সাকিনার চরিত্রে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের প্রেক্ষাপটে ছিল এই সিনেমা।
আর গদর ২-তে দেখানো হয়েছে তারা সিং সীমানা পেরিয়ে প্রবেশ করছে পাকিস্তানে ছেলেকে বাঁচাতে, যেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন উৎকর্ষ শর্মা, যে কি না পাকিস্তানি সেনার হাতে বন্দি।