বক্স অফিসে ১৪ নম্বর দিনে এসে গেল সানি দেওল আর আমিশা পাটালের ‘গদর ২’। আর এখনও ব্যবসা করছে ফাটিয়ে। হল মালিকদের আশা সামনের সপ্তাহান্তেও টেনে দেবে গদর। একেবরে ৭ সেপ্টেম্বর গদর ২ মুক্তি পওয়ার পরই হয়তো ধীরে ধীরে সরবে হল থেকে।
সে যাই হোক, ১৪ নম্বর দিন অর্থাৎ দ্বিতীয় বৃহস্পতিবারে ছবি আয় করে ফেলল ৮.২০ কোটি। এই প্রথম একক সংখ্যা ঘরে তুলল। এর আগের কদিনও ১৩ তো কখনও ১০ কখনও ১২ কোটি আয় করেছে। আর ছবির ১৪ দিনের আয় ৪১৮.৯০ কোটি। আরও পড়ুন: ‘ডাক্তাররা জানায় এই শরীর নিয়ে আর কোনওদিন সিনেমা করতে পারবেন না অমিতাভ বচ্চন’
চলতি বছরে বলিউডে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী ছবির তালিকায় রয়েছে পাঠান। যা ৫০ দিনের কাছাকাছি ছিল বক্স অফিসে। আর দেশের বাজার থেকে আয় করে ৫৪০ কোটির কাছাকাছি। সেখানে ১৪ দিনেই গদর ২ পেরিয়ে গিয়েছে ৪১৮ কোটি। দেখার শাহরুখ খানের রেকর্ড ভাঙতে পারেন কি না সানি দেওল।
২০০১ সালের ব্লকবাস্টার হিট গদর: এক প্রেম কথা-র সিক্যুয়েল এই ছবিখানা। এক ট্রাক ড্রাইভার তারা সিং ও সাকিনার প্রেম কাহিনি এর আগেও হলে লোক টেনেছিল এভাবেই। সেইসময় একইদিনে মুক্তি পাওয়া আমির খানের লগন ছবিটিকে আসন মজবুত করার সুযোগই দেয়নি। এবারেও গদর ২-এর সঙ্গে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমারের ওএমজি ২। ওএমজি বেশ ভালো ব্যবহসা করলেও, আয়ের দিক থেকে গদরের থেকে কয়েক গুণ পিছিয়ে। ১৪ দিনে অক্ষয়ের ছবির আয় ১৩০ কোটির কম। আরও পড়ুন: কাশ্মীর ফাইলসের জন্য জাতীয় পুরস্কার, কী প্রতিক্রিয়া বিবেক অগ্নিহোত্রীর?
এদিকে গদর ২-এর সাফল্যের মাঝে খবর রটেছে যে সানির জুহুর বাংলো নাকি নিলামে উঠেছে। ৫৬ কোটির লোন নিয়ে তা পরিশোধ করতে পারেননি অভিনেতা। সানির জুহুর বাংলোটির নাম ‘সানি ভিলা’। রবিবার এই বাড়িটি বিক্রির নোটিশ জদারি করে দেয় সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ২৫ সেপ্টেম্বর নিলামে ওঠার কথা ছিল। তবে ব্যাঙ্কের তরফে এরপর একটি সংশোধনী জারি করে ‘সানি ভিলা’ নিলামে তোলা খারিজ করা হয়। সানি নিজের টিমের মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘আমরা এই সমস্যাটি সমাধান করার প্রক্রিয়ায় আছি। আমরা এই বিষয়ে আর কোনও জল্পনা-কল্পনা না করার জন্য অনুরোধ করছি।’