ব়্যাপার হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে ১২০ পাতার অভিযোগের প্রতিলিপি জমা দিয়েছেন স্ত্রী শালিনী সিং। ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের বিরুদ্ধে গার্হ্যস্থ হিংসা, যৌন হেনস্থার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী। শালিনীর দাবি বিয়ের পরেও একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম স্থাপন করতেন হানি, পালটা প্রশ্ন করলে কপালে জুটত মার। তবে শুধু হানি সিং নয়, গায়কের পরিবারের বিরুদ্ধেও একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে তাঁর।
মহিলাদের সুরক্ষা আইনের অধীনে দিল্লির তিশ হাজারি কোর্টে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন শালিনী। মঙ্গলবার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সিংহের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। সূত্রের খবর, হানি সিংয়ের কাছে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা ঠুকেছেন শালিনী। তাঁর অভিযোগ, পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। গোয়ালে বাঁধা পশুর চেয়েও খারাপ আচরণ করা হত তাঁর সঙ্গে।
অভিযোগের প্রতিলিপতে শালিনী জানিয়েছেন, হানি কেবল একা নন, তাঁর বাবা, মা এবং বোনও শারীরিক এবং মানসিকভাবে দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়েছে তাঁর উপর। শালিনী জানিয়েছেন, একবার তাঁর শ্বশুর মদ্যপ অবস্থায় তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। সেই সময়ে শালিনী পোশাক বদলাচ্ছিলেন, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি বেরিয়ে যানি বরং পালটা বৌমাকে হেনস্থা করেন।
২০১১ সালে তাঁরা শিখ রীতি অনুযায়ী দিল্লির ফার্ম হাউজে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু তিন বছর ধরে এই বিয়ে লুকিয়ে রেখেছিলেন হানি সিং। ২০১৪ সালে প্রথম তাঁর বিবাহিত হওয়ার খবর জানাজানি হয়ে যায়। শালিনীর অভিযোগ হানিমুনের পর থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল দম্পতির মধ্যে, একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে হামেশাই লিপ্ত থাকেন হানি সিং।
আগামী ২৮ অগস্টের মধ্যে র্যাপার-গায়ককে তাঁর লিখিত বয়ান আদালতের সামনে জমা দিতে হবে। এবং আপাতত হানি সিং ও শালিনীর নামে যে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে তা বিক্রি করা যাবে না, শালিনীর স্ত্রী ধন (গহনা)-ও সুরক্ষিত রাখতে হবে। গোটা বিতর্ক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম বিবৃতি জারি করেননি হানি সিং।