হৃতিক রোশনের কেরিয়ারের অন্যতম ব্লক্লাস্টার তাঁর ২০০৩ সালের সিনেমা কোই মিল গ্যয়া। যা বানিয়েছিলেন হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনই। ৮ অগস্ট ছবি পার করল ২০ বছর। আর সেই সূত্র ধরেই ছবির নানা অজানা কথা উঠে এল হৃতিক আর রাখেশ রোশনের মুখে।
হৃতিক যেমন ফাঁস করলেন ‘কোই মিল গ্যয়া’ বানাতে নাকি রাজিই ছিলেন না রাকেশ। শেষে অনিল কাপুরের সাহায্য নিয়ে বাবাকে রাজি করান হৃতিক। অভিনেতার কথায়, ‘আমি অনিল কাপুরের সাহায্য নিয়ে বাবাকে সেইসময় রাজি করিয়েছিলাম। একদিন অনিল আঙ্কেল আমাদের বাড়িতে এসেছে বা কোথাও দেখা হয়েছে, আমি বলেছিলাম, ‘এই সিনেমাটা করতে পাপাকে রাজি করাতেই হবে’। এরপর আমরা দুজন বসে বাবাকে বোঝাই। আর তারপর সিনেমাটা হয়েছিল’। অনিল কাপুরের সঙ্গে রাকেশ রোশনের ঘনিষ্ঠতা বহুদিনের। তাঁরা খেল., কারোবার-এর মতো ছবি করেছেন একসঙ্গে।
এর আগে রাকেশ নিজেও জানিয়েছেন, বড় ঝুঁকি নিয়েছিলেন কোই মিল গ্যয়া-র সময়। কারণ কহোনা প্যয়র হ্যায় ২০০০ সালে মুক্তির পর একটাও ছবি হিট করেনি হৃতিকের। সেই সময় তাঁর ছেলের গায়ে সেঁটে গিয়েছিল ‘ ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার’ তকমা, অর্থাৎ যে একটা ছবিতে করিশ্মা দেখিয়েই গায়েব। সেই পরিস্থিতিতে রাকেশ সায়েন্স ফিকশন কতটা নিতে পারবে দর্শক তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ভয় ছিল আদৌ হলে লোক আসবে তো হৃতিককে দেখতে।
তবে তাঁকে অবাক করে দিয়ে হাউজফুল হয় ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো। ৩৫ কোটি বাজেটে তৈরি ছবিখানা সেই সময় হলে ব্যবসা করে ৮২.৩৩ কোটির। এরপর রাকেশ কৃশ আর কৃশ ৩ বানিয়েছেন। সেই দুটিও সাফল্যের মুখ দেখেছে বক্স অফিসে। প্রসঙ্গত, ২০ বছর পূর্তী উপলক্ষে ফের একবার হলে আসছে ২০০৩ সালের সিনেমা ‘কোই মিল গ্যয়া’। যাতে ছিলেন প্রীতি জিন্টা, রেখা, প্রেম চোপড়ার মতো অভিনেতারা।
এদিকে খবর ছিল, ২০২৪ সালেই নাকি আসবে কৃশ ৪। তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে খানিক টালমাটাল রাকেশ ফের একবার। কারণ হিসেবে জানান, ‘যা হচ্ছে তা হল যে দর্শকরা এখনও প্রেক্ষাগৃহে বিশেষ আসছেন না (কোভিডের পরে)। তাই এটা নিয়ে আমার মনে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। কৃষ একটি বড় ছবি হতে চলেছে। তবে পৃথিবী এখন ছোট হয়ে গেছে এবং আমাদের বাচ্চারা আজকাল হলিউড সুপারহিরো ফিল্ম দেখতে অভ্যস্ত যেগুলো ৫০০-৬০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের ছবি। সেই দিক থেকে আমাদের ছবির বাজেট অনেক কম। মাত্র ২০০-৩০০ কোটির বাজেট রয়েছে।’
রাকেশের ভয়, যেভাবে বড় বাজেটের ছবিগুলো ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়ে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়ছে তা যেন না হয় কৃশ ৪-এর ক্ষেত্রে। তাই স্ক্রিপ্ট, গল্প সব রেডি থাকলেও একটু সময় নিয়ে পুরো পরিকল্পনা ভালোমতো করে নিয়েই এগোতে চান।