নেগেটিভ চরিত্র করেও কতটা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ফাহিম মির্জা। মিঠাইয়ের পুলিশদাদার কুৎসিত রূপ উঠে আসছে ইচ্ছে পুতুল-এ। স্ত্রীর উপর সারাক্ষণ অত্যাচার করে ‘প্লে-বয়’ রূপ। মদ খেয়ে স্ত্রীর উপর রূপের শারীরিক নির্যাতনের কাহানি দেখে শিউরে উঠে দর্শক। এর জেরেই মহাফ্যাঁসাদে পড়েছেন অভিনেতা ফাহিম মির্জা। আরও পড়ুন-‘ডোন্ট টাচ..’, শ্যুটিং-এর প্রথম দিন ‘মহানায়িকা’ সুচিত্রার চিৎকার! শিউরে ওঠেন কল্যাণী, তারপর?
শনিবার দাদাগিরি-র মঞ্চে হাজির হয়েছিল ‘ইচ্ছেপুতুল’ পরিবার। সেখানেই দাদা বললেন- গুটিগুটি হিরোর চরিত্র থেকে নেগেটিভ রোল করে বেশি পরিচিতি পেলি। নেগেটিভ রোল করা কিন্তু সহজ নয়। তাই লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই'। ফাহিম বললেন, লজ্জায় আজকাল মায়ের দিকে তাকাতে পারেন না তিনি।
ফাহিমকে সৌরভের সটান প্রশ্ন, ‘তুই এই সুন্দর মানুষটাকে মারধর করিস?’ লজ্জা পেলে জবাব দেন- ‘আমি করি না দাদা, আমাকে দিয়ে করায়।’ পালটা ‘গিনি’ ঐশী বলেন, ‘অন ক্যামেরা মারধর করে, অফ ক্যামেরা সারাক্ষণ সরি সরি বলে’। চরিত্রের মধ্যে মাঝেমধ্যে এতটাই ঢুকে পড়েন ফাহিম, মাঝেমধ্যে নাকি বাস্তবেই ঐশীকে আঘাত দিয়ে বসেন তিনি, নালিশ ঠুকলেন অভিনেত্রী। যদিও সে কথা মানতে না-রাজ ফাহিম। বেল্ট দিয়ে বউকে পেটায় রূপ, শুনতেই আঁতকে উঠেন সৌরভ।
ফাহিম আফসোসের সুরে বলেন, ‘আমায় মা কী বলে জানো, এরপর তোর জন্য মেয়ে দেখা মুশকিল হয়ে যাবে’। ফাহিমের জন্য কি মা-কে মেয়ে দেখতে হবে? খোঁচা দেন সৌরভ। ওমনি অনস্ক্রিন পত্নী ফাঁস করল ফাহিমের প্রেমের কীর্তি। ঐশী বলেন, ‘ফাহিমদার জন্য মোটেই মেয়ে দেখে হবে না। নিজের সমস্ত ব্যবস্থা আছে।’ ব্যবস্থা নেই দাবি অভিনেতার। হুমকির সুরে সবটা ফাঁস করার কথা জানান ঐশী। তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছর ধরে ফাহিমদা দাবি করছে ও সিঙ্গল কিন্তু সিঁড়ির পাশ দিয়ে গেলে তুমি দেখতে পাবে ফোনে- ও আচ্ছা, হ্যাঁ (ফোনে কথা বলার ভঙ্গি)। আর কথা কী বলছে সেটা পাশে দাঁড়িয়েও শুনতে পাবে না’।
ডুবে ডুবে জল খাচ্ছেন ফাহিম, ইশারা ঐশীর। একমত ‘ইচ্ছেপুতুল’-এর বাকি সদস্যরাও। সৌরভ অবশ্য সিরিয়ালের খলনায়ককে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘নিজের জন্য ব্যবস্থা থাকাটা খারাপ কিছু নয়’। পাশাপাশি নিজেদের অভিনয় গুণে যেভাবে চরিত্রগুলোকে বাস্তবসম্মত করে তুলেছেন ইচ্ছে পুতুল-এর কলাকুশলীরা, তার জন্যও মেঘ-নীল-রূপ-গিনিদের প্রশংসা করলেন মহারাজ।