সিনেমায় যতই নানা ধরনের গান শুনি না কেন আমরা হিন্দি বলুন বা বাংলা দুই জায়গার সিনেমাতেই রবীন্দ্র সংগীতের বিশেষ স্থান আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে দেখে নিন হিন্দি বাংলার কোন কোন ছবিতে কিছু অবিস্মরণীয় গান ব্যবহৃত হয়েছে।
ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা ছবিতে রবি ঠাকুরের যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে গানটি শোনা যায়। সিনেমার প্রেক্ষাপটে এই গানটি যে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল সেটা বলাই বাহুল্য।
২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া রাজকাহিনী ছবিতেও ব্যবহৃত হয়েছে কবিগুরুর ভারত ভাগ্য বিধাতা গানটি। এই গানের প্রথম স্তবক আমাদের জাতীয় সঙ্গীত।
অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠে কাহানি ছবির একলা চলো রে গানটিকে তো এই তালিকায় রাখতেই হয়। বিদ্যা বালানের অভিনয়ের সঙ্গে বিগ বির গলায় এই গান গোটা সিনেমাকে আলাদা মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল।
অবশেষে ছবিতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কণ্ঠে আজি বিজন ঘরে অনেকেরই একলা থাকার সঙ্গী। মন কেমনেরও।
শুভ মহরত ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছিল রবি ঠাকুরের জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে গানটি। এটি মনোময় ভট্টাচার্যের গলায় শোনা গিয়েছিল।
চতুষ্কোণ ছবিতে শ্রীকান্ত আচার্যের গলায় চিরসখা হে গানটি মনের শান্তি এনে দেয়।
আলো ছবির যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন তো আজও একাধিক সিরিয়ালে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে অন্য মৃত্যুর সিনে।
বেলাশেষে ছবিতে গান থাকলেও তুমি তবে নীরবে গানটির ধুন এসরাজে শোনা গিয়েছিল। শুভায়ুর বাজানো সেই এসরাজের সুর শুনে চোখে জল আসেনি এমন মানুষ বোধহয় খুব কম আছে।
চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে, চাঁদের বাড়ি ছবিটির অন্যতম জনপ্রিয় গান।
অঞ্জন দত্তের রঞ্জনা আমি আর আসব না ছবিতে জাগরণে যায় বিভাবরী গানটি একদম নতুন রূপে শোনা গিয়েছিল। সোমলতা আচার্যের কণ্ঠে এই গান আজও জনপ্রিয়।