বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হার্টথ্রব নায়ক শন বন্দ্যোপাধ্যায়। 'মন ফাগুন'-এর ঋষিরাজের প্রেমে হাবুডুবু খায় হাজার হাজার তরুণী। টেলি পর্দায় পা রাখবার পর থেকেই আট থেকে আশির পছন্দের নায়ক সুপ্রিয়ার নাতি। যদিও নিজের ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়ে ভীষণ চাপা শন। 'মন ফাগুন' শেষ হওয়ার পর ছোটপর্দা থেকে দূরেই রয়েছেন ঋষিরাজ। তা ঋষিরাজের মতো শনও কি খুঁজে পেল তাঁর জীবনের পিহুকে? নিজের প্রেম জীবন নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করেছেন শন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এখানে আকাশ নীলের 'ডক্টর উজান' জানান, 'না, আমার জীবনে অনেক দিন কেউ নেই। আমি সিঙ্গল। এই মুহূর্তে নিজের উপর এবং নিজের শিল্পের উপরেই ফোকাস ধরে রাখতে চাই। এরপর শন যোগ করেন, ‘নারী-পুরুষ উভয়ের কাছেই কাঙ্ক্ষিত (ডিজায়ারেবল) হওয়াটা আমার কাছে একটা আর্শীবাদ বলেই আমি মনে করি। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সঙ্গেই আমার বড় হয়ে ওঠা। আমি তাদের সমর্থক। আমি সকলের পছন্দ, তাঁদের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন (যৌন প্রবৃত্তি)-কে সম্মান করি। আর আশা রাখি তারাও আমার স্ট্রেট (শুধুই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এমন পুরুষ) হওয়ার প্রেফারেন্স সম্মান জানাবে।’
শনের বিরুদ্ধে বরাবরের অভিযোগ তিনি ইন্ট্রোভার্ট। সে কথা মেনে নিয়ে অভিনেতা বলেন- ‘এটা ঠিক, কিন্তু এক্ষেত্রে আমার কিছু করবার নেই। আমার চারপাশের মানুষজনকে আমি পর্যবেক্ষণ করি, সেটা আমাকে অভিনয়ে সাহায্য করে। আজকাল মানুষ কথা বলতেই ভালোবাসে, কেউ শোনে না। আমি শুনতে ভালোবাসি, তাই আমাকে বোরিং বললেও ক্ষতি নেই’।
শনকে শেষ দেখা গিয়েছে ক্লিক-এর ওয়েব সিরিজ 'হানিমুন'-এ। সম্প্রতি সিক্স প্যাক অ্যাবস বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। টেলিভিশনের বাইরে এখন অন্য মাধ্যমেও নিজেকে মেলে ধরছেন অভিনেতা। রবিন নাম্বিয়ারের একটি ছবিতে দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন শন। মুক্তির অপেক্ষায় এসকে মুভিজের সেই ছবি। এছাড়াও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে 'অন্তর্দৃষ্টি' ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, মুক্তির অপেক্ষায় সেই ছবিও। শন জানান, ‘এই মুহূর্তে টেলিভিশন থেকে ব্রেক নিয়েছি। আমার পরবর্তী ওটিটি প্রোজেক্টও খুব অন্য রকম। আমি খুব উত্তেজিত সেটা নিয়েই’।
প্রসঙ্গত, শন ছোটপর্দা থেকে দূরে থাকলেও এই মুহূর্তে ‘স্টার প্লাস’-এ সম্প্রচারিত হচ্ছে ‘মন ফাগুন’-এর হিন্দি ডাবিং- ‘দো দিল মিল রহে হ্য়ায়’। তাই ছোট পর্দায় ঋষি-পিহুর রোম্যান্স ফের চাক্ষুস করার সুযোগ পাচ্ছে অনুরাগীরা।