বলিউডে এখন পুরনো ক্লাসিক গানগুলি রিমেক বানানোর ধুম লেগেছে। যা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন বর্ষীয়ান গীতিকার জাভেদ আখতার। সাইরাস সেজের সঙ্গে কথোপকথনে জাভেদ আখতার বলেন, পুরনো গানকে পুনরুজ্জীবিত করা কোনও সমস্যা নয়। তবে তাতে যোগ হওয়া কমার্শিয়াল দিক খারাপ স্বাদ যোগ করে। এমনকী এই ধরনের গানকে ‘তাজমহলে ডিস্কো সংগীত’ বাজার সঙ্গেও তুলনা করেন জাভেদ আখতার।
‘অতীতকে স্মরণ করা, এটিকে গুরুত্ব দেওয়া, এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা মোটেও ভুল নয়। এটা প্রশংসনীয়। কিন্তু একই সময়ে অতীতের উপর এই ধরনের বাণিজ্যিক নির্ভরতা একটি সুস্থ মনোভাব নয়। আপনি সুন্দর লিরিক্স, ভালো অর্থ সহ একটি গান নিচ্ছেন এবং তারপর তাতে আপনার নিজের উদ্ভট অন্তরা যোগ করছেন, এটি ঠিক নয়। এটা অজন্তায় সাইকেডেলিক আলো বা তাজমহলে ডিস্কো মিউজিক দেওয়ার মতো। যা একেবারে ঠিক নয়।’, বলেন জাভেদ আখতার। আরও পড়ুন: খালি গায়ে নীল, কালো স্নানপোশাকে তৃণা! দেশ না বিদেশ, কোথায় জমল তৃনীলের ভ্যাকেশন?
‘এগুলি মহান গায়ক, লেখক, সুরকারদের স্মরণীয় গান, আপনার তাদের সম্মান করা উচিত। এটি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আপনি এটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান, করুন। কিন্তু তাতে অতিরিক্ত স্তবক যোগ করার প্রয়োজন নেই। যেমন, আপনি একটি (কেএল) সায়গলের গান নিন এবং অরিজিতকে (সিং) দিয়ে গাওয়ান, এটি ঠিক আছে। কিন্তু আপনি সেই গানটি নিলেন তার মধ্যে একটি র্যাপ যোগ করে দিলেন, এটি হাস্যকর।’, বলেন জাভেদ। আরও পড়ুন: থরথর করে কাঁপল হাত, বন্ধু সতীশ কৌশিকের শেষ বার্তা পড়তে গিয়ে চোখে জল অনিলের
বলিউডে কাজ করা সবচেয়ে সুপরিচিত গীতিকারদের মধ্যে অন্যতম হলেন জাভেদ আখতার। ৫ বার জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। সঙ্গে পেয়েছেন পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ সহ বেশ কয়েকটি সম্মান। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানগুলির মধ্যে রয়েছে এক লাডকি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা, সন্দেসে আতে হ্যায়, তেরে লিয়ে এবং একতারা। জাভেদ ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী শাবানা আজমিকে বিয়ে করেছেন। এর আগে তিনি চিত্রনাট্যকার হানি ইরানিকে বিয়ে করেছিলেন এবং সেই বিয়ে থেকে দুটি সন্তান রয়েছে - অভিনেতা-চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহান আখতার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা জোয়া আখতার।