নাতনি নভ্যা নন্দার পডকাস্ট শো 'হোয়াট দ্য হেল নভ্যা'র একটি পর্বে সম্প্রতি হাজির হয়েছিলেন জয়া বচ্চন। এই পর্বে হাজির ছিলেন তাঁর মেয়ে শ্বেতা বচ্চনও। এখানে এসেই জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে কথা বলেছেন জয়া। শ্বেতা বচ্চনও তাঁর পেশায় আসা বাধা ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খোলেন।
অভিনয় জগতে এতটা সফল হলেও, ব্যবসা করতে নেমে কিন্তু একেবারেই ব্যর্থ হয়েছিলেন শাহেনশা। ব্যবসা করতে গিয়ে একসময় তাঁরই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শূন্য হয়ে গিয়েছিল। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ। পাওনাদারদের টাকা মেটাতে তাঁর বিখ্যাত বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ বিক্রি করার মতো জায়গায় চলে গিয়েছিলেন বিগ বি। এই সময়ে তিনি কীভাবে নীরবে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন জয়া, তাই তিনি তুলে ধরেন সেই আড্ডায়। আরও পড়ুন: প্রাণ যেত ঘুসি খেয়ে, হেপাটাইটিসেও হন কাবু, বহু লড়াই জিতে কাজে ফেরেন বিগ বি
জয়া বচ্চন বলেন, ‘আমার জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। একজন মানুষ যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন তাদের জন্য শুধু সেখানে পাশে থাকা এবং শান্ত থাকাই ভালো। চুপিচুপি দাঁড়িয়ে থাকা এবং এই কথা বলা ভালো যে আমি তোমার জন্য এখানে আছি’। জয়ার সেই কথা শুনে শ্বেতা বচ্চন বলেন, ‘না মা! আমি তা মনে করি না। কখনও কখনও সেই মানুষের কিছু আইডিয়াও প্রয়োজন হয়, যা পরে তারা কাজে লাগাতে পারে। আমি আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চাই এবং সমাধানের সন্ধান করতে চাই কারণ আমি সমস্যা সমাধানকারী’।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে অভিনয় থেকে ব্যবসার জগতে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড’ বা ‘এবিসিএল’ (ABCL) নামে এক সংস্থার। যাত্রা শুরুর সময় এবিসিএল-এর মূল্য ছিল ৬০ কোটি টাকা। ৬০ কোটি টাকা মূল্যের এবিসিএল-এর জন্য, অতিরিক্ত ২২ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে, মোট ৭০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। আর এর পিছনে ছিল তাঁর অন্তত পাঁচটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলির উপর বাজি ধরেছিলেন অমিতাভ, কিন্তু সেগুলি কখনই প্রত্যাশিত ফল দেয়নি।
ঋণের দায়ে ডুবে থাকা অমিতাভকে, ২০০০ সালে, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই রিয়েলিটি শোয়ের বিপুল সাফল্য অমিতাভের আর্থিক বোঝা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, তাঁকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করেছিল তাঁর অভিনয়ই। যশ চোপড়ার ‘মহব্বতেঁ’ ফিল্মের সাফল্য়ই বলা যেতে পারে অমিতাভ বচ্চনকে আর্থিক দিক থেকে এবং পেশাগত দিক থেকে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিল।