উনি তো ‘খিটখিটে বুড়ি’, ‘বদমেজাজি’, জয়াকে দেখলে বহু লোকজনই এভাবেই সম্বোধন করেন। পাপারাৎজিদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহারের’ জন্য হামেশাই সংবাদ শিরোনামে থাকেন অমিতাভ ঘরণী। তবে এবার তাঁকে নিয়ে লোকজনের হাসিঠাট্টা, মিম নিয়েই মুখ খুললেন জয়া বচ্চন।
সম্প্রতি নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দার ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্যা’ সিজন -২তে হাজির হয়েছিলেন জয়া, সঙ্গী হন তাঁর মেয়ে শ্বেতা। সেখানেই নানান বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন 'ধন্যি মেয়ে'। সেখানেই কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে জয়াকে নিয়ে লোকজনের হাসিঠাট্টার কথা। সেকথায় ৭৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলেন, লোকেরা তাঁকে নিয়ে হাসে তাতে তাঁর আপত্তি নেই, তবে মিমগুলি খুব খারাপ।
নাতনি শ্বেতা তখন দিদিমা জয়াকে জানান, তিনি কীভাবে ‘ইন্টারনেট সেনসেশন’, ‘মিম জেনারেটর’ হয়ে উঠেছেন। জয়া তখন জানান, ‘ যাঁরা আমার মিম তৈরি করে, আমি অন্তত এমন কিছু লোকের খাবার সরবরাহ করি।’
নভ্যা নাভেলি নন্দা ‘জয়া-ইং’ শব্দটির সঙ্গে দিদিমার পরিচয় করান, যেটা পাপারাৎজির সঙ্গে জয়া বচ্চনের তিক্ত কথোপকথনের কারণে তৈরি হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে শ্বেতা ব্যাখ্যা করে বলেন এর অর্থ হল ‘অতিরিক্ত নোনতা’। একথায় জয়া স্বীকার করেন যে এটা খুব প্রশংসামূলক শব্দ নয়, তবু ঠিক আছে।
নভ্যা জয়া বচ্চনকে 'প্যাপ কালচার' নিয়ে তাঁর অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। যাঁর উত্তরে 'ধন্য়ি মেয়ে' বলে, ‘লোকজন আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে বা আমাকে নিয়ে হাসছে তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে কিছু লোকজন যে মিমগুলি তৈরি করছে তা খুবF খারাপ। ওঁদের এটা সঠিকভাবে করা উচিত।’ নভ্যা দিদিমাকে পরামর্শ দেন, ‘আপনি তো ওঁদের শেখাতে পারেন’। তবে তাতে জয়া জবাব দেন, ‘আমি কেন ওদের শেখাতে যাব!’
এদিকে এদিন জয়া নাতনিকে জিগ্গেস করে বসেন, ‘তুমি আসলে কী করতে চাও, সেটাও আমি জানতে চাই?’ এর জবাবে নভ্য়া বলেন, 'এটা একটা কঠিন প্রশ্ন। আমি একাধিক কাজ করি। আজকাল কেউই আর একটা কাজ করছে না। অল্পবয়সিদের কাছে সাইড জব বলে কিছু না কিছু থাকে। এটা চাকরির মতো, আপনি ৯-৫টার চাকরি করেন। এটা যে কোন কাজ হতে পারে, তবে আপনি সেই কাজটি করার পাশেও আরও কিছু করেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নাতি অগস্ত্য নন্দার প্রথম ছবি ‘দ্য আর্চিস’ স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির হয়ে ছিলেন জয়া বচ্চন। সেখানেও তিনি পাপারাৎজির উপর নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেন। রেড কার্পেটে ক্যামেরাম্যানদের বকাঝকা করেন তিনি। এই ধরনের অনুষ্ঠানের সময় শালীনতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। এমনই নানান ঘটনায় জয়ার সঙ্গে নিত্যদিনই ঘটতে দেখা যায়।