বিয়েবাড়িতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। বাজির স্ফুলিঙ্গ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে উঠল বিয়েবাড়ির মণ্ডপ। মুহূর্তের মধ্যে শোকে পরিণত হল বিয়েবাড়ির আনন্দ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৬ সদস্যের, যার মধ্যে রয়েছে ৩ জন শিশু। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় যায় গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙার বহেরা থানা এলাকায় অবস্থিত অন্তৌর গ্রামে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: অগ্নিদগ্ধ হয়ে একসঙ্গে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, পাটনার হোটেলে বিধ্বংসী আগুনের জের
জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা নরেশ পাসোয়ানের মেয়ের বিয়ে ছিল। তার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি। বরপক্ষের লোকজন বিয়েবাড়ির কাছাকাছি আসতেই বাজি ফাটাতে শুরু করেন আমন্ত্রিতরা। তখনই বাজির স্ফুলিঙ্গ থেকে প্রথমে মণ্ডপে আগুন লাগে। সেখানেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। আগুনে সেটিও ফেটে যায়। এরফলে ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন গ্রাস করে নেয় গোটা মণ্ডপকে। তখন অতিথিদের খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। পাশাপাশি সেখানে একটি জেনারেটরও রাখা ছিল। তারজন্য ডিজেলও মজুত ছিল । সবমিলিয়ে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ব্যাপক আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিয়েবাড়িতে কিছু লোকজন আতশবাজি ফাটাতে শুরু করলে মণ্ডপে আগুন ধরে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো মণ্ডপটি আগুনের গ্রাসে চলে আসে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলা হলেও তারা শোনেননি। আর তারফলেই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল। এদিনের ঘটনায় মৃতরা হল নরেশ পাসোয়ানের প্রতিবেশী রামচন্দ্র পাসোয়ানের ছেলে সুনীল পাসোয়ান, তাঁর স্ত্রী, বড় মেয়ে কাঞ্চন দেবী এবং কাঞ্চনের তিন সন্তান।
সিনিয়র পুলিশ সুপারকে জগুনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পরে প্রতিটি মৃত্যুর জন্য চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মহকুমা আধিকারিক শম্ভূনাথ ঝা। এছাড়াও সম্পত্তি নষ্টের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ টি গরু মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহকুমা শাসক জানান, এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।