ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন তাঁরা। দেখতে দেখতে দাম্পত্যের ২৬ বছর পার করে ফেলেছেন অপরাজিতা আঢ্য ও অতনু হাজরা। বাংলা টেলিভিশন তথা ছবির জগতের অন্যতম সফল নাম অপরাজিতা আঢ্য, তাঁর স্বামীও ইন্ডাস্ট্রির মানুষ। কাজ করেন ক্যামেরার পিছনে। স্ত্রীর সাফল্য কোনওদিন বিচলিত করেনি অতনুকে।
জীবনের উত্থান-পতন একসঙ্গে দেখেছেন তাঁরা। আজকাল বিয়ে ভাঙা যেখানে জলভাত, সেখানে একদম অন্যরকম দম্পতি তাঁরা। এই মুহূর্তে ‘জল থই ভালোবাসা’র কোজাগরী হিসাবে দেখা যাচ্ছে অপরাজিতাকে। পর্দায় যেমন নিজের সংসারকে আগলে রাখে কোজাগরী, বাস্তবেও একইরকম অপরাজিতা। তাঁর কাছে 'পারফেক্ট রিলেশনশিপ’ কী? এক সাক্ষাৎকারে অকপটে জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।
অপরাজিতার কথায়, জীবনে পারফেকশন খোঁজাটাই ভুল। পৃথিবীতে কোনওকিছুই নিঁখুত হয় না। আনন্দবাজার পত্রিকাকে অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা ভালবাসি যখন-তখন, কোনও মানুষের গুণ দেখে। কিন্তু ভালবাসি বলেই কোনও মানুষের শর্তাধীন নই। একে অপরের মর্জি মতো চলা, বা সারাক্ষণ পছন্দ-অপছন্দ মাথায় নিয়ে চলা মানে তো চুক্তির মতো। আমি যদি আশা করে থাকি আমার বর হৃতিক রোশনের মতো দেখতে হবে, তা হলে তো আমার সংসারে অশান্তি হবে। সে তার মতো করে সুন্দর করে বাঁচবে। আমিই তাকে সাহায্য করব।’
আজকাল চারিদিকে বিয়ে ভাঙছে দেদার। সেলেবদের দাম্পত্য ভাঙা-গড়ার চর্চায় গমগমে নেটপাড়া। তারকাদের এই একাধিক বিয়ে নিয়ে কী ভাবনা অপরাজিতা? অভিনেত্রী বললেন,'সম্পর্ক টেকা না টেকা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। এমনকি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপরেও নির্ভর করে। আমার যদি সম্পর্ক না টেকে বা বঞ্চিত হই, তা হলে কি আমার জীবনে প্রেম আসতে পারে না! তা না হলে তো আমি নিজেই বিশ্বাস হারাব'। অপরাজিতা জানান, একটা সম্পর্কে ফেল করলে সেখান থেকে বেরিয়ে আরেকটা সম্পর্কে বিশ্বাস জোগাতে পারলে সেটা ভুল নয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ এক জন প্রয়াত হলে, তখন যদি তাঁর জীবনে নতুন মানুষ আসে তাহলে জীবনকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়াটায় ক্ষতি নেই।
আজকাল সম্পর্ক ভাঙার পিছনে রয়েছে ধৈর্য্যের অভাব। অপরাজিতা ওই সাক্ষাৎকারে জানান, ‘এখন মেয়েরা লজ্জা, অপমান ও আত্মসম্মানে আঘাত আর মেনে নেয় না। আত্মসম্মানে আঘাত করলে কেন মেনে নেব, মোটেই মানব না।’