একটা সময় নিজেকে সুন্দরী ভাবতে পারতেন না কাজল, শ্যামবর্ণা হওয়ায় শুনেছেন কটূক্তি

আত্মবিশ্বাসী হওয়ার সুবাদে নিজেকে তিনি আকর্ষণী, স্মার্ট, সেক্সি মনে করতেন। তবে নিজেকে সুন্দরীর আখ্যা দেননি সহজে।

কাজল

গায়ের চাপা রঙ এবং জোড়া আইভ্রু নিয়ে নব্বইয়ের দশকে বলিউডে ডেবিউ করে কাজল। সম্প্রতি এক চ্যাট শো-তে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, দীর্ঘ একটা সময় কেটে গেছে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী থেকে সুন্দরী হিসেবে সহজে মানতে পারেননি কাজল। তাঁর মতে ‘সুন্দরী’ একটা বিশেষণ মাত্র। তিনি নিজেকে বুদ্ধিমান এবং আকর্ষণীয় বলে মানতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

সম্প্রতি অভিনেত্রী নেটফ্লিক্সের তাঁর শো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর ঠাকুমা সোভনা সমর্থন তাঁকে বলেছিলেন, সৌন্দর্য যাঁর যাঁর নিজের দৃষ্টিতে। তাঁর ঠাকুমা অল্প বয়সে সেই সময়কার সেরা সুন্দরীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তিনি তাঁক শিখিয়েছিলেন নিজেকে ভালবাসার অর্থ।

অভিনেত্রী আরো জানান, খারাপ ভাবার বিষয় নয় তবে, তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো অনেক বেশি ছিল। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার সুবাদে নিজেকে তিনি আকর্ষণী, স্মার্ট, সেক্সি মনে করতেন। তবে নিজেকে সুন্দরীর আখ্যা দেননি সহজে। দীর্ঘ একটা সময় কাজ করার পর নিজেকে ‘সুন্দরী’ বলার সাহস জুগিয়েছেন।

এত বছর পর অভিনেত্রী বুঝতে পারেন নিজের উপস্থিতি এবং নিজেকে ভালবাসাটা সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ। এখন যখন তিনি আয়নার সামনে দাঁড়ান অথবা সেল্ফি তোলেন নিজেকে চমকপ্রদ মনে করেন অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন তাঁর মতো অন্যান্য মহিলারাও নিজেকে ভালবাসতে শিখবে।

১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে কাজলের। এরপর ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ’, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, ‘কভি খুশি কভি গাম’ সহ একাধিক বক্স অফিস হিট করা ছবির মুখ কাজল। 

সম্প্রতি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে পা রেখেছেন অভিনেত্রী কাজল। সৌজন্যে স্বামী অজয় দেবগনের প্রযোজনায় ছবির ‘ত্রিভঙ্গ’। ছবিতে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীর চরিত্রে দেখা যায় কাজলকে। পরিচালক রেণুকা সাহানির হাত ধরে  মা, মেয়ে ও দিদিমার মধ্যস্থ সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তৈরি গল্প।