মা হওয়ার অভিজ্ঞতা সব মেয়ের কাছেই একটু আলাদা। তবে, বাইরে থেকে ব্যাপারটা যতটা আকর্ষণীয় লাগে, ভিতর থেকে ততটাই কঠিন। আর সম্প্রতি এই নিয়েই কথা বলতে শোনা গেল বলিউড অভিনেত্রী কালকি কোয়েচলিনকে।
নিজের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কালকি জানিয়েছেন, মেয়ে স্যাফো হওয়ার পর নিজেকে গুছিয়ে নিতেই তাঁর এক বছরের বেশি সময় লেগে গিয়েছে। সঙ্গে জানিয়েছেন তাঁর কাছে মাতৃত্ব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একটা কাজ।
২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে মেয়ের জন্ম দেন কালকি। বিয়ের আগেই মা হওয়ার জন্য কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁকে। যদিও এই জার্নিতে তিনি পাশে পেয়েছিলেন ইজরায়েলী বয়ফ্রেন্ড গাই হার্সবার্গকে।
অভিনেত্রী নিজের সাক্ষাৎকারে জানান, ‘সন্তান জন্মের পর আসলে আবার তোমাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। তোমাকে খুঁজতে হয় আসলে কে তুমি, সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে তোমার মনে তোমার ইচ্ছে, তোমার কাছে কী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তুমি কি চাও তা নিয়ে। নিজেকে উপভোগ করা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা করতে আমার ১ বছরেরও বেশি সময় লেগে গিয়েছে। প্রথমে আমার মনে তহ আমি শুধু ওই ভ্রূণটার যে আমার মধ্যে বাস করছে, তারপর ২৪x৭ নতুন বাচ্চার… আমার জন্য সবচেয়ে শক্ত কাজ ছিল এটা। নিজের টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়া অংশগুলোকে তুলে ধরা এবং তাও নিজের বাচ্চার সাথে থাকতে চাওয়া। আসলে সেসবের মধ্যে থেকেও নিজের জন্য একধাপ পিছিয়ে আসাটাও খুব দরকার।’
সন্তান জন্মের পর মাত্র ৩ সপ্তাহ পরেই কাজে ফিরেছিলেন কালকি। তবে এর জন্য অনেক ধরনের স্ট্রাগল করতে হয়েছে তাঁকে। রাতের পর রাত ঘুম না হওয়া, শরীরে নান পরিবর্তন, সব সামলে কীভাবে কাজের জগতে ফিরেছিলেন, অভিনেত্রী সেই অভিজ্ঞতা এর আগে নিজেই শেয়ার করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানিয়েছিলেন, শ্যুট চলাকালীন মাঝপথেই মেয়েকে দুধ খাওয়ানোর জন্য ছুটে যেতেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনায় ২০০৯ সালে দেব ডি ছবি দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। জোয়া আখতারের পরিচলনায় ‘গল্লি বয়’ ছবিতে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে কালকি কোয়েচলিনকে।