বম্বে হাইকোর্টে দায়ের কঙ্গনা রানাওয়াতের সংশোধনী পিটিশনের জবাব দিল বিএমসি। বৃহন্মুম্বই পুরসভার কাছে পালি হিলসের অফিস বাড়ি ভেঙে দেওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কঙ্গনা যে পিটিশন দাখিল করেছেন, তার জবাব শুক্রবার হাইকোর্টকে জানাল বিএমসি।
কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলস স্থিত মনিকর্ণিকা ফিল্মসের অফিসে নাকি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। এই অভিযোগ এনে নোটিশ জারির চব্বিশ ঘন্টা পরেই, গত ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার সেই অফিস বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৃহন্মুম্বই পুরসভা।চারদিন আগেই হাইকোর্টকে কঙ্গনা জানান- ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি, বিএমসির কাছ থেকেই সেই গ্যাঁটগচ্ছার খেসারত চান পর্দার মনিকর্ণিকা।
বিএমসির দাবি কঙ্গনার এই দাবি অনৈতিক এবং বেআইনি। এই ধরণের পিটিশন দাখিল করে আদালতকে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা করছেন কঙ্গনা। এই দাবি তোলা হয়েছে বিএমসির তরফে। এই কাজের জন্য কঙ্গনার উপর জারিমানা আরোপ করা প্রয়োজন,দাবি বিএমসির।
গত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরোধ চরমে। এর মাঝেই শিবসেনার নেতৃত্বাধীন বৃহন্মুম্বই পুরসভার এই কীর্তিকে অনেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ফসল হিসাবেই তুলে ধরেছেন। কঙ্গনার দাবি তাঁর অফিস বাড়িতে কোনও অবৈধ নির্মাণ ছিল না। ৯ তারিখেই বিএমসির বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নায়িকা।গত সোমবার আদালতে নতুন করে সংশোধনী পিটিশন দাখিল করেন কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি। সেখানেই পুরসভার কাছ থেকে এই বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি স্পষ্টই বলেছেন ‘বাড়ির ৪০ শতাংশ অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’।
বিএমসির অভিযোগ পালি হিলসের ওই বাংলোর কাঠামোয় অনুমতি না নিয়েই নির্মাণগত পার্থক্য আনা হয়েছে। বিএমসি এদিন হাইকোর্টকে জানায় কঙ্গনার দাবি ভুয়ো যে নির্দিষ্ট অনুমতি নিয়ে ওই পরিবর্তনের কাজ করা হয়েছিল।
এই মামলায় বম্বে হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানির দিন নির্দিষ্ট হয়েছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর।