সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘কেদারনাথ’ সিনেমার পরিচালক ছিলেন অভিষেক কাপুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেতাকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন পরিচালক। অভিষেকের কথায়, ‘কেদারনাথ’ সিনেমা করার সময় নাকি 'বিরক্ত' ছিলেন সুশান্ত। তবে কাজের বিষয় সুশান্ত নাকি খুব মনযোগীও ছিলেন, সেকথাও বলতে ভোলেননি পরিচালক।
সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সুশান্তকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন ‘কেদারনাথ’ ছবির পরিচালক অভিষেক কাপুর। পরিচালক সুশান্তের সঙ্গে ‘কেদারনাথ’, ‘কাই পো চে’র মতো সিনেমাতে কাজ করেছেন। সাক্ষাৎকার চলাকালীন সুশান্তের কথা স্মরণ করে কীভাবে কেদারনাথ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও অভিনয় করার জন্য অভিনেত্রী সারা আলি খানকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন সুশান্ত তাও তুলে ধরেন অভিষেক। আরও পড়ুন: সলমনকে কোলে তুলতে না পেরে শেরাকে ডাকলেন অনন্ত! এরপরই তো শুরু হল আসল মজা
অভিষেকের কথায়, ‘বহুদিন থেকেই সুশান্ত খুব বিরক্ত ছিলেন। টেনশনে ছিলেন!’ ‘কেদারনাথ’ ছবির পরিচালকের কথায়, তাঁর সঙ্গে সুশান্তের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। ‘ফিতুর’ সিনেমায় সুশান্তকে কাস্ট করার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সুশান্তের সঙ্গে ওই প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত হয়নি, পরিবর্তে 'কেদারনাথ'-এ কাস্ট করা হয়েছিল।
'কেদারনাথ'-এর প্রথম শিডিউল সুশান্ত এবং সারার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং প্রমাণিত হয়েছিল। প্রচণ্ড ঠান্ডা, তারমধ্যে বৃষ্টির সময় শ্যুটিং করতে হয়েছিল সেই ছবির। এতটা অসুবিধার মধ্যেও সুশান্ত মানসিক এবং শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী ছিলেন। কিন্তু সেই দিনগুলিতে তাঁকে অন্যমনস্ক ও অসহায় লাগত জানিয়েছেন পরিচালক। অভিষেকের কথায়, ‘সুশান্ত এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি সব সময় সবাইকে অনুপ্রাণিত করতেন। আমার মনে আছে, কেদারনাথ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়, সারা আলি খানকে নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন সুশান্ত’।
অভিষেক আরও বলেন, ‘তবে আমি লক্ষ্য করেছিলাম। সুশান্তের মনে কিছু একটা চলছিল। যা ওকে ভাবাচ্ছিল। ওকে খুব চিন্তিত লাগত। শ্যুটিং শেষে সবার থেকে দূরে বসে থাকত। জিজ্ঞেস করলে বলত, আমার ভালো লাগছে না কিছু। কিন্তু কখনই মন খুলে কথা বলেননি সুশান্ত’।
২০২০ সালে মুম্বইতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে দেহ উদ্ধার হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। তাঁর মৃত্যুর চার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এতদিন পরও তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গিয়েছে। আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি এর নেপথ্যে ছিল অন্য কারও ষড়যন্ত্র? এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর তদন্ত যদিও এখনও চলছে।