‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকে মিতুল চরিত্রে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন আরাত্রিকা মাইতি। ধারাবাহিকের গল্প অনুসারে মিতুল এখন দুই সন্তানের মা। এক ছেলে ও আরেক মেয়ে। সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এ নিজের রিয়েল লাইফের মা মৌমিতাকে নিয়ে এসেছিলেন আরাত্রিকা। উপস্থিত ছিল খেলনা বাড়ি পরিবারের সদস্যরাও। তবে খেলার ফাঁকে আরাত্রিকার বয়স শুনে মুখ হাঁ হয়ে যায় শো-র সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরাত্রিকার বয়স এখন মাত্র ১৮। ক্লাস টুয়েলভে লেখাপড়া করছেন। এদিকে অনস্ক্রিনে তাঁর মেয়ে গুগলি-র আসল বয়স ২৩। আর মিতুলের যেই ছেলে জন্মের পরই হারিয়ে যায় তার বয়স ১৯। মানে মা-এর থেকে ছোট তাঁর দুই ছেলে আর মেয়ে। দিদির কাছে পর্দার মিতুলের স্বীকারোক্টি, ‘অনস্ক্রিন আমি ওদের শাসন করি আর অফ স্ক্রিন ওরা আমায় শাসন করে। ১৮ বছর বয়সে যদি আমাকে বড় বড় দেখতে লাগে আমি কী করব বলো!’
জি বাংলার তরফে এই প্রোমো ভাইরাল হতেই সমালোচনা করল একাংশ। একজন লিখলেন, ‘এর আগেও আরাত্রিকাকে বয়স নিয়ে এরকম বলতে শুনেছি। কী মজা পায় কে জানে।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘শুধু বয়স নিয়ে কথা। কচি সাজার চেষ্টা।’
মৌমিতাদেবী জানালেন, মেয়ের ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার শখ। টিভিতে দেখে নানা চরিত্রের মতো করে সাজত তাঁর মেয়ে। সেভাবেই সংলাপ বলে শোনাত তাঁকে। তাই তিনি আর তাঁর স্বামী মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করেন ঝাড়গ্রাম থেকেই মৌমিতাকে কলকাতায় কাজের জন্য নিয়ে আসার।
আরাত্রিকার প্রথম কাজ রাণী রাসমণি ধারাবাহিকে খুব ছোট্ট একটা চরিত্রে। অভিনেত্রী জানান, ‘সকাল ৮টায় কলটাইম থাকত। আমরা রাত দুটোর ট্রেন ধরে আসতাম। সকাল ৬টায় কলকাতা নামতাম। ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে কাজ হত। অত সকালে তো সেট খুলত না। আমি আর বাবা একটা বটগাছের তলায় বসে থাকতাম। ওখানে বসেই ব্রেকফাস্ট করতাম। এখনও যখন আউটডোরে কখনও ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে যাই, ওই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।’
মৌমিতা মাইতি জানালেন, তাঁর মেয়ে খুবই নার্ভাস। খুব সরল। যে কোনও কিছুতেই কেঁদে ফেলে। নিজের উপর এখনও কোনও কনফিডেন্স নেই। যদিও পর্দায় মিতুল আবার সম্পূর্ণ উলটো। এই ছোট্ট বয়সেই কিন্তু সেই চরিত্রে যথাযথ আরাত্রিকা। খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকটিও বেশ ভালোই ফল করে টিআরপি-তে।