বই পড়তে দারুণ ভালোবাসেন অভিনেত্রী কৃতী কুলহারি। লকডাউনের এই সময়টা তাই প্রিয় বইগুলোর সঙ্গেই কাটছে অভিনেত্রীর। অ্যামাজন প্রাইমের সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ফোর মোর শটসে দেখা গেছে কৃতীকে। লকডাউন চ্যালে়ঞ্জ থেকে বলিউড কেরিয়ার-ফিভার নেটওয়ার্কের #100Hours100Stars অনুষ্ঠানে খোলামেলা আড্ডায় ধরা দিলেন নায়িকা।
নবি মুম্বইয়ের খারগড়ে বাবা-মা’র সঙ্গে লকডাউনের এই সময়টা কাটছে তাঁর। আরজে ঋষির সঙ্গে অপকট আড্ডায় কৃতী জানালেন বাইরে দোকানপাটের দায়িত্বে রয়েছে বাবার কাঁধে,অন্যদিকে বাড়ির সব কাজ সামলাচ্ছেন তিনি এবং তাঁর মা।
অভিনেত্রীর কথায় মা’কে সাহায্য করবার যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি ডাহা ফেল করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মা আজীবন একজন গৃহবধূ থেকেছেন।উনি ঘরের কাজে একদম পারফেক্ট। প্রচন্ড ওয়ার্কোহলিক। প্রতিটি কাজ তিনি পারফেক্ট ভাবে করেন। তাই বেশিরভাগ সময়ই আমি যা করছি সেটা ঠিক হচ্ছে না কিন্তু চেষ্টা জারি রয়েছে’।
লকডাউনের এই সময়টা মায়ের কাছে রান্নাও শিখে নিচ্ছেন নায়িকা। রান্নাঘরে প্রতিদিনও কাটছে কৃতীর সময়।সম্প্রতি পোঙ্গল (চালের তৈরি দক্ষিণ ভারতীয় খাবার) তৈরি করে বাবা-মা’কে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
করোনাভাইরাস সংকটে নিজের মন আর মুড ঠিক রাখার চাবিকাঠিও রয়েছে কৃতীর কাছে।তিনি জানালেন-‘ একসঙ্গে তিন থেকে চারটে বই পড়ছি’। একসঙ্গে অনেক বই একসঙ্গে পড়তেই নাকি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন কৃতী। মুড অনুযায়ী বই বেছে নেন তিনি। কখনও আধ্যাত্মিক তো কখনও অন্য কোনও স্বাদের বই। আপতত লিজা রায়ের আত্মজীবনী পড়ছেন কৃতী, পাশাপাশি একটি শিক্ষামূলক বইও পড়ছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।