লালনের তিন নম্বর বিয়ে দেখিয়ে টিআরপি তালিকায় এক নম্বর হয়েছে ‘ধুলোকণা’। বিয়ের পরেই বিদ্যুৎ গতিতে নিজের হারানো স্মৃতি ফিরে পেয়েছে লালন। ফুলঝুরি-সহ নিজের পরিবারকে চিনতে পরেছে সে। কিন্তু সিরিয়ালের গল্পে টুইস্ট না থাকলে চলে? আর লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা সিরিয়াল মানেই সেখানে থাকবে পরকীয়ার গন্ধ। আপতত গুড্ডির অনুজের মতো লালনও দুই বউকে নিয়ে পড়েছে মহাফাঁপড়ে!
লিপস্টিক দিয়ে সিঁথি রাঙানো বউ তিতিরকে ভুলতে পারছে না লালন। মাঝেমধ্যেই তিতিরের কথা মনে পড়ছে তাঁর। অথচ অন্য মেয়ের প্রতি লালনের এই টান দেখে বেজায় চটেছে ফুলঝুরি। লালনকে তাঁর কড়া বার্তা, ‘দু নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না’। লালনকে তাঁর পরামর্শ, ‘তুমি তিতির দিদির বাড়িতে গিয়েই থাকো’। তিতির ও তাঁর বাড়ির প্রতি লালনের ভালোবাসা দেখে ফুলঝুরি জানায়, ‘আমার ভালো লাগছে তুমি সত্যি কথাগুলো বলছো, কারুর মন রেখে কথা বলছো না।’ পাশাপাশি লালনকে সতর্ক করে ফুলঝুরি জানায়, ‘এইসব বন্ধন থেকে আমি মুক্তি চাই…. তোমার চাওয়ার আর কোনও দাম নেই আমার কাছে’।
'ফুলঝুরি আমি তোমাকেও ভালোবাসি'- লালনের মুখে একথা শুনে মন ভাঙে ফুলঝুরির। সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘তিতির নামটা তুমি আমার সামনে আর উচ্চারণ করো না’। এইসব কাণ্ডকারখানা দেখে হয়রান দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকেই। বেশিরভাগই ধুলোকণার নামের পাশে ‘ফালতু সিরিয়াল’ তকমা জুড়ে দিচ্ছে। কেউ আবার লালনকে ‘ক্যারেক্টরলেস’ বলে কটাক্ষ করছে। বাদ যাচ্ছেন না লেখিকাও। ফের নেটিজেনদের রোষের মুখে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কীভাবে বেঙ্গল টপার হচ্ছে ‘ধুলোকণা’ সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এক কথায় এই বিকৃত রুচির সিরিয়াল দেখে ক্ষেপে লাল দর্শকদের একাংশ।