তিনি ‘লাফটারসেন’। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিচিত এই নামেই। আসল নাম যদিও নিরঞ্জন মণ্ডল। তাঁর 'বাবেশ' বা 'মিষ্টি বাপি'র বিষয়ে জানেন না এমন বাঙালি নেটিজেন এখন কমই আছেন। ২০২৩-এ হঠাৎ করেই কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসাবে ‘লাফটারসেন’ নিরঞ্জন মণ্ডলের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।
বহু নেটিজেনই তাঁর কৌতুকরসে ভরা তাঁর কনটেন্ট দারুণ উপভোগ করেন। ফেসবুক, হোয়াটসআপ গ্রুপে ঘুরে বেড়ায় নিরঞ্জনের কনটেন্ট। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ফের ভাইরাল ‘লাফটারসেন’। এবার তিনি ‘বড় পিসি’র ভূমিকায়। নতুন বানানো ভিডিয়োতে ভাইয়ের বউদের সমালোচনা করে তিনি হয়ে উঠেছেন কূটিল ননদ। কথাতেই বলে 'ননদিনী রায়বাঘিনী'। আর সবুজ শাড়ি পরে, হাতে শাঁখাপলা, মাথায় পরচুলা পরে, ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে ‘কুচুটে’, 'গসিপ কুইন' ননদিনীর বেশ ধরেছেন নিরঞ্জন। ভিডিয়োতে তাঁকে কখনও ভাইয়ের বউদের সমালোচনা করতে দেখা যায়, কখনও আবার ছেলের বউদের নামে মায়ের কান ভাঙাতে দেখা যায়।
'গসিপ কুইন' ননদিনীর বেশে ‘লাফটারসেন’কে দেখে বেশ মজা পেয়েছে নেটপাড়া। ভিডিয়ো দেখে অনেকেই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। আর মনে মনে স্মরণ করছেন, নিজেদের চারপাশে দেখা এধরনের চরিত্রগুলিকে। ইতিমধ্যেই তাঁর এই ভিডিয়োর নিচে কমেন্টের বন্যা বইছে।
প্রসঙ্গত, ‘লাফটারসেন’ নিরঞ্জন মণ্ডলের ইনস্টাগ্রামে অনুসরণকারীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ ৪০ হাজার, আর ফেসবুকে এই সংখ্যাটা প্রায় ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার, আর ইউটিউবে প্রায় ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার অনুসরণকারী তাঁর।
ভাইরাল এই ‘লাফটারসেন’ একবার এসে হাজির হয়েছিলেন দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চেও। সেখানে তিনি শুনিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠার গল্প। নিরঞ্জন বলেছিলেন, 'আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। মা বলল সায়েন্স নিস না বাবু কেটে যাবে। তখন কমার্স নিলাম। সিএ প্রিপারেশন শুরু করলাম। এরপর যখন কোভিড এল, তখন লকডাউন ওঠার আগে আগেই একটি ভিডিয়ো বানাই তখন যা যা মেনে চলতে বলা হতো সেগুলো নিয়ে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এরপরই শুরু।'
তবে সেবারই আবার দিদির মঞ্চে আক্ষেপের সুরে নিরঞ্জন মণ্ডল জানিয়েছিলেন, 'এতো ফলোয়ার তবে আমায় অনেকেই সামনে থেকে চিনতে পারেন না। কারণ আমি তো অন্য মেকআপ চুলে থাকি, তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না।'