সমস্ত শিব ভক্তদের কাছে মহা শিবরাত্রির দিনটা খুব কাছের। হিন্দু ধর্মের অন্যতম বিশিষ্ট উৎসব এটি। এই তিথিতে উপবাস করে শিবলিঙ্গে দুধ ও জল চড়ান ভক্তরা। সিদ্ধি, ধুতরো, আকন্দ, দুধ, দই, মধু, গঙ্গাজল নিবেদন করে পুজো করা হয়। সাধারণত মাড়ির মা-দিদিমাদের দেখে খুব ছোট বয়স থেকেই সকলের মধ্যে শুরু হয় শিবপুজোর চল। সেরকমই এক গল্প শোনা গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো দিদি নম্বর ১-এ।
শাস্ত্র মতে চার প্রহরে শিব পুজো করলে ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায়। ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ লাভ করে। অনেক মেয়ে আবার মানেন, পাওয়া যায় শিবের মতো বর।
আরও পড়ুন: খিলখিল হাসি দুজনের! হয়নি বিচ্ছেদ, ‘বাবু’ ডেকে তথাগতর উদ্দেশে বার্তা ঋতাভরীর
‘আমার দিদিভাই যে আছে, সে খুব ভক্তি নিয়ে শিবরাত্রির পুজো করত। দেখতাম না খেয়ে আছে। আমি তো ছোটবেলায় অত বুঝতে পারতাম না। খানিক জেদ করেই শিবরাত্রির উপোস করি। জল না খেয়ে, খাবার না খেয়ে কী করে একটা দিন কেটে গেল, বুঝতেই পারিনি। আমার বাড়ির পাশে একটা বড় শিবমন্দির আছে। সেখানে নিশি রাতে পুজো হয়। সেই নিশি রাতে গিয়েই পুজো দেই। তারপর জানতে পারলাম এমন না শিব শুধু তোমার মনের সব ইচ্ছে পূরণ করলাম। সবার মুখ থেকে জানলাম, শিবের মতো একটা বড়ও নাকি পাওয়া যায় শিবরাত্রি করলে!’, জানালেন ঋত্বিকা ঘোষ নামের ওই প্রতিযোগী।
আরও পড়ুন: সমীর ওয়াংখেড়ের অভিনেত্রী স্ত্রী ক্রান্তি রেডকারের কাছে 'পাকিস্তান' নম্বর থেকে আপত্তিকর ফোন
ছেলেবেলা বেশ কষ্টে কেটেছে বলে জানালেন দিদি নম্বর ১-এ। খুব কম বয়সে তাঁদের দুই বোনকে একা করে চলে যায় বাবা। অনেকেই বলত, মেয়েরা কী আর করবে! তবে সেই থেকে মাথায় জেদ চেপেছিল, সবাইকে ভুল প্রমাণ করবেন! দেখিয়ে দেবেন, ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে কোনও তফাত নেই। নিজে টিউশনি করে পড়ার খরত জোগাড় করেন। আর এখন তিনি শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: শয়তানের ধামাকা! প্রথম দিনে বড় আয় অজয়-মাধবনের সিনেমার, কত কোটি এল ঘরে
এরপর রচনা প্রশ্ন করেন, শিবের মতো বর কি পেয়েছেন? তাতে জবাব আসে বিয়ে না করলেও, মনের মানুষ এসেছে তাঁর জীবনে। আর সে শিবের মতোই ভালো! শিবপুজো তাঁর জীবনটা ভরিয়ে রেখেছে। ‘এই মানুষটাই এখন আমার শিব। সবসময় একটা মেয়ের আর্থিক সাহায্য লাগে না। একটা ইমোশনাল সাপোর্ট লাগে। ও আমাকে সবসময় উৎসাহ দেয়, কাজ করার। আরও এগিয়ে যাওয়ার।’