সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ‘এলিক্সির এশিয়া’ মঞ্চে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন বাংলার মেয়ে। নভেম্বরে থাইল্যান্ডে আয়োজিত হতে চলা ‘এলিক্সির এশিয়া’ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার দৌড়ে অংশ নেবেন মালদহের মধুপর্ণা হোড়। ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছে তাঁর বাড়িতে।
বিশ্বের দরবারে জেলা তথা রাজ্যকে তুলে ধরাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য। মালদহ শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মধুপর্ণা হোড়। ছোট থেকেই মডেলিং করার স্বপ্ন ছিল চোখে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে পড়াশোনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই এতদিন ইচ্ছে পূরণ সম্ভব হয়নি। গত কয়েক বছরে পড়াশোনা নিয়েই কেটেছে বছর ২৬-এর মধুপর্ণার। ইংরেজি নিয়ে স্নাতকোত্তর পর্বের পর ব্রিটিশ দূতাবাসের মাধ্যমে অনলাইনেও পড়াশোনা করেছেন তিনি। মধুপর্ণার বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী দিলীপ হোড়।
করোনা আবহে অর্থাৎ লকডাউনে ইন্টারনেট থেকে নিজেকে গ্রুমিং করা শুরু করেন মধুপর্ণা। প্রথমে দিল্লীতে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সেখান থেকে খুঁটিনাটি শিখে রাজ্যস্তরে অংশগ্রহণ করেন। সঙ্গে ছিল পরিবারের উৎসাহ, তাতেই বাজিমাত। প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। কলকাতায় একটি ফ্যাশন উইকেও অংশ নিয়েছেন। ওড়িশার এক খ্যাতনামা ডিজাইনারের সঙ্গে ফোটোশ্যুট করেছেন। এবার আন্তর্জাতিক স্তরে পা রাখতে চলেছেন।
এখন মধুপর্ণার লক্ষ্য থাইল্যান্ড। প্রায় ২০টি দেশ থেকে আসা সুন্দরীদের পিছনে ফেলে সেরার মুকুট নিজের মাথায় পরা এবং দেশের সঙ্গে নিজের রাজ্য তথা জেলার শহরের নাম উজ্জ্বল করা। মধুপর্ণার কথায়, ‘আন্তর্জাতিক স্তরে অংশ নিতে যাচ্ছি। এখন ভারত তথা বাংলাকে বিশ্বে তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।’