‘মৃগয়া’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল বিয়ের। সেইমতো বিয়ের তারিখ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায় মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তীর বিয়ে। কেন হয়নি বিয়েটা? প্রকৃত কারণ জানা যায়নি ঠিকই। তবে শোনা যায়, কেরিয়ারের বলিদান দিয়ে মিঠুন ঘরণী হতে রাজি ছিলেন না মমতা শঙ্কর।
বিয়ে ভাঙলেও এত বছর ধরে মিঠুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট মমতা শঙ্করের। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর এই জুটিকে ‘প্রজাপতি’ ছবিতে দেখেছে দর্শক। বক্স অফিসে এখনও উড়ে বেড়াচ্ছে ‘প্রজাপতি’। এর মাঝেই ফের একফ্রেমে মিঠুন-মমতা। সৌজন্যে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চ। শুরু হয়ে গিয়েছে জি বাংলার এই নাচের রিয়ালিটি শো। ১০ বছর পর ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে মহাগুরুর আসনে ফিরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। রবিবারের এপিসোডে এই ডান্স শো'তে বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকছেন মমতা শঙ্কর।
মমতা শঙ্করের সামনেই ‘নতুন রূপে ভারতীয় নৃত্যশৈলী’ পরিবেশন করবে প্রতিযোগিরা। জি বাংলার তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এদিনের এপিসোডের ঝলক। সেখানে দেখা গেল প্রতিযোগিদের নাচ দেখে থ মমতা শঙ্কর। এরপর শুভশ্রী, শ্রাবন্তী আর প্রতিযোগিদের সঙ্গে নাচের তালে পা-ও মেলালেন তিনি। মমতা শঙ্করের নাচে মুগ্ধ গ্র্যান্ড মাস্টার। তারপরেই এল সেই মুহূর্ত, ‘মহাগুরু’ নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে লাল গোলাপ তুলে দিলেন মমতা শঙ্করের হাতে, এরপর তাঁকে বুকে টেনে নিলেন। এই দৃশ্য দেখে নস্টালজিক অনেকেই। ‘মৃগয়া’র স্মৃতি উস্কে দিলেন জুটি। নাচের মঞ্চে আবারও ফিরল সেই পুরোনো রসায়ন।
মমতা শঙ্করকে মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ভাগ্যিস ওর (মিঠুন) সঙ্গে বিয়েটা হয়নি’। পরবর্তীতে যোগিতা বালির সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন মিঠুন, অন্যদিকে ভালোবেসে চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন মমতা শঙ্কর। দু-দিন আগেই ৪৫তম বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন মমতা শঙ্কর ও চন্দ্রোদয়।
ওই সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেছিলেন, ‘মিঠুন খুবই ভাল। কিন্তু আমার নাচ, আমার ছবি করা এগুলো বন্ধ হয়ে যেত। ও সেটা পছন্দ করত না।’ সঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সংযোজন ছিল, ‘কিন্তু আমার আর মিঠুনের বন্ধুত্বটা সুন্দর ভাবে রয়ে গিয়েছে। আমরা আজও খুব ভাল বন্ধু।'