শহর থেকে দূরে বৃন্দাবনে বেড়াতে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সঙ্গে গিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। রাধা-কৃষ্ণের শহরে গিয়ে আবিরে মাখামাখি হয়ে হলি খেলেছেন অভিনেত্রী। সে এক সুন্দর মুহূর্ত…। কিন্তু একী! সেখানে গিয়েই ‘ছিঁচকে চোর’-এর পাল্লায় পড়লেন মিমি। যে কিনা মিমির দামী রোদ চশমা টেনে নিয়ে চম্পট দেয়। তারপর?
‘ছিঁচকে চোর’-এর কাণ্ডকারখানা নিজেই ভিডিয়ো আকারে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন মিমি। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে। ‘ছিঁচকে চোর’টি আসলে একটা বাঁদর। মন্দির চত্ত্বরে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। হঠাৎই মিমির মায়ের চশমা নিয়ে চম্পট দেয় সে। তারপর বিস্কুটের বিনিময়ে সেটি ফেরত পওয়া যায়। আর এরপর সেই 'দুষ্টু' বাঁদরের লক্ষ্য ছিল মিমির দামী, সাধের রোদ চশমা। চশমা নিয়ে চম্পট দিল বাঁদর। সেকী কাণ্ড! অগত্যা চশমা ফেরত পেতে তার পিছনে খালি পায়েই দৌড় দিলেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘You just took my favorite Sunglasses!’
তখন রোদচশমা মুখে নিয়ে দৌড়াচ্ছ বাঁদরটি। মিমিও পিছন পিছন গেলেন খালি পায়েই। সহজে ফেরত দেওয়ার পাত্র নয় সে। চশমা নিয়ে সে একটা টোটোর নিচে গিয়ে বসল। এরপর মিমি তাঁকে কিছু একটা খাবার দিতে তবেই সে চশমাটি রেখে দিয়ে যায়। তাও সহজে নয়। মিমিকে বলতে শোনা গেল, ‘সানগ্লাস কিঁউ লে লিয়া মেরা, ইয়ে খানে লাইক চিজ থোড়ি হ্যায়।’ তারপর 'মেরে চশমা দে দে ইয়ার' বলে দৌড়ালেন। তারপর চশমা রেখে, খাবার নিয়ে পালাল বাঁদর…। চশমা ফেরত পেতেই, গোটা কাণ্ডে হো হো করে না হেসে পারলেন না মিমি।
আরও পড়ুন-শহর থেকে বহু দূরে, ‘রাধে রাধে’ বলে দোলের আগেই কোথায় হোলি খেললেন মিমি?
এক অনুরাগী মিমির এই ভিডিয়োর নিচে লিখেছেন, ‘যাতা ট্রিপ তো!’ কেউ আবার হা হা হা করে হেসে জিগ্গেস করেছেন, ‘কোথায় এটা পুরীতে?’ স্বস্তিকা দত্ত লিখেছেন, ‘একী একী!’ কারোর মন্তব্য, ‘বৃন্দাবনে এটা খুবই সাধারণ বিষয়। আমিও এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। তবে সেল ফোন নিয়ে সাবধান!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘গুড জব মিমি। আপনার স্বর্গের মতো সৌন্দর্যের সঙ্গে স্মার্ট মস্তিষ্কও রয়েছে।’ কারোর প্রশ্ন, ‘বাঁদর হিন্দু বোঝে!’ কারোর দাবি, ‘খুবই ভালো বাঁদর, চশমাটাতো দিয়ে দিল।’ এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে শুক্রবারই কপালে, মুখে আবির মেখে রঙিন হয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশানে লেখেন, ‘রাধে রাধে’। পরে লেখেন, ‘ভালোবাসা আর এই ভয়ের দেশে আমার জন্য হোলি একটু তাড়াতাড়ি শুরু হয়েছিল।’ Hindustan Times Bangla-র তরফে খোঁজ নেওয়া হলে, মিমির ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক জানান, ‘মিমি বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন।’। দোলও এবার সেখানেই কাটাবেন? উত্তর আসে, ‘নাহ, দোলে কলকাতাতেই, ইতিমধ্যেই ফিরছেন।’