শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, মীর আফসার আলি আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা টলিপাড়ার অন্দরেও। একে-অপরকে ভালো বন্ধুর স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরা। আর ‘প্রেমে’র ব্যাপারে মত, এসবই মিডিয়ার রটনা! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকার সঙ্গে সম্পর্ক খোলসা করতে দেখা গেল মীরকে।
মীর তাঁর সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজারকে জানান, ‘সেটা (তাঁর ও স্বস্তিকার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন) বাজে জায়গা থেকে করা হয়েছে। এই বন্ধুত্বটা অনেক বছর ধরে। যাই হয়ে যাক আমরা বন্ধু থাকব। আমরা এক ইন্ডাস্ট্রি। যাই হোক, দেখা তো হবেই। এই স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে লোকজনের হঠাৎ মাথাব্যথা হয়ে গেল।। আমরা এটা নিয়ে আর কথা বলিনি। কারণ আমার একটা পরিবার আছে। ওর একটা পরিবার আছে। বোঝার মতো মানসিকতা আজকের দিনে কারও নেই। লোকজন অন্য মানুষের সম্পর্ক যেতটা চাটনির মতো ব্যবহার করা যায়, তারা সেটাই করে।’
পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাসের ‘বিজয়ার পরে’ ছবিতে জুটি বাঁধার সুবাদে স্বস্তিকা-মীরের রসায়ন আরও বেশি করে চর্চায় আসে। মাঝেমধ্যে অবশ্য দেখা যায়, স্বস্তিকাকে নিয়ে ট্রোল করার চেষ্টা হলে, প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মীর! যা যে কোনও বন্ধুত্বের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই খুব স্বাভাবিক। তবে এখনও নারী-পুরুষের স্বাভাবিক বন্ধুত্ব চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা সে স্কুল-কলেজে হোক বা সিনেমার জগতে।
এই সাক্ষাৎকারে ট্রোলিং নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় মীরকে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আজকের দিনে সবাই ট্রোলার। আমাদের সবার মধ্যে ট্রোল ব্যাপারটা চলে আসছে। খুব কুৎসিতভাবে হচ্ছে ট্রোলটা। বাড়ির লোককে পর্যন্ত টেনে আনছে। যত বেশি প্রতিক্রিয়া আসবে, ততই বেশি যেন ট্রোল হবে। লোকে তাই প্পতিবাদ করতেও ভয় পাচ্ছে। আমি মনে করি যাদের চিনি না তাঁদের কথাই যখন পাত্তা দেই না সবসময়। তো যাদের চিনি না তাঁদের কথা কেন পাত্তা দেব।’
রেডিয়ো ছেড়েছেন বছরখানেক হয়ে গিয়েছে। মীরের ধ্যানজ্ঞান এখন গল্পমীরের ঠেক। এর আগেও সানডে সাসপেন্স দিয়ে ভালোবাসার জায়গাটা ধরে রেখেছিলেন শ্রোতার মাঝে। তবে সেখানে তিনি ছিলেন শুধুই কণ্ঠশিল্পী। আর এখন গল্পমীরের ঠেকের পরিচালনা থেকে শিল্পী নির্বাচন, সব দায়িত্বই তাঁর কাধে। সঙ্গে তাঁর গল্পপাঠ তো রয়েইছে। এসবের পরেও, মীরের ভালোবাসার মানুষরা চাক ‘সকালম্যান’ আবার ফিরুক রেডিয়োতে। হোক না তা অন্য কোনও চ্যানেলে।