২২ জানুয়ারির প্রতিক্ষায় গোটা দেশ। ওই দিনই অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। তার আগে আপাতত রামনামে মজে রয়েছেন বহু দেশবাসী। এদিকে আবার রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিনই কৃষ্ণনাম নেবেন বাংলার একসময়ের জীবনমুখী গানের শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। ২২ জানুয়ারি, নচিকেতা গাইবেন কৃষ্ণের ভজন।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। ২২ জানুয়ারি সোমবার, গীতিকার শ্রী গোবিন্দ প্রামাণিক ও সুরকার রাজকুমার রায়ের সৃষ্ঠ কৃষ্ণভজন ‘কৃষ্ণ নাম বলবো’ শোনা যাবে নচিকেতার কণ্ঠে। আবার ওইদিনই শিল্পীকে ডেডিকেট করে রাজকুমার রায় গাইবেন ‘চোখ মোছাবো নচির গানে’। ওইদিনই উদ্বোধন হবে সেই গানটির।
২২ জানুয়ারি দেশের অধিকাংশ মানুষ যখন রামলালার আরাধনায় মগ্ন, ঠিক সেদিনই কৃষ্ণের ভজন গাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন নচিকেতা। তাঁর সাফ কথা, ‘কোথায় কী হচ্ছে, সেটা বড়কথা নয়, আমি ওইদিন গাইছি সেটাই বড়কথা। তাছাড়া আমি তো চিরকালই কৃষ্ণভক্ত। সেতো ফ্রান্সেও এখন যুদ্ধ চলছে, তার সঙ্গে তো কৃষ্ণের ভজনের সম্পর্ক নেই। আমি কৃষ্ণভক্ত মানুষ হিসাবে সুযোগ পেয়েছি, সেটাই আমার কাছে অনেক, তবে কবে হবে সেটা বড়কথা নয়।’
আরও পড়ুন-‘পুরনো মাসিমাদের মতো শাঁখা-সিঁদুর নিয়ে যেতে পারলেই বাঁচি…’ নচিকেতার মুখে কেন এমন কথা!
আরও পড়ুন-ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে আদালতে হাজিরা, কত টাকার বন্ডে জামিন পেলেন নুসরত?
নিজের লেখা, সুরকরা গানেই বরাবর মানুষের মন ছুঁয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। সেখানে অন্যের কথা ও সুরকরা গান গাওয়া কি স্নেহবশে? একথায় নচিকেতার উত্তর, ‘খানিকটা তো বটেই। ভালো কাজ যারা করে তাঁরা তো আমাদেরই লোক। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে আমার ওঁর ভাবার প্রয়োজন নেই। তাই ভালো গান যাঁরাই গাইবেন, আমি তাঁদের পাশে আছি, সেই গানের পাশে আছি।’
প্রসঙ্গত, বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে চিরকালই জনপ্রিয় নচিকেতার গান। ৯০-এর দশকে 'জীবনমুখী' গানের শিল্পী হিসাবেই পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নচিকেতা। সেসময় নচিকেতার কণ্ঠে অনির্বাণ ও নীলঞ্জনা শুনে মুগ্ধ ছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। আবার সেই নচিকেতাই যখন 'বৃদ্ধাশ্রম' গেয়েছেন সেটাও হিট। আবারও অনেক পরে গিয়ে নচিকেতা যখন শ্যামাসঙ্গীত গেয়েছেন সেটাও বহু মানুষের মন কেড়েছে। আর এবার সেই নচিকেতা চক্রবর্তীর গলায় শোনা যাবে কৃষ্ণভজন।