গানের জগতে এখন পরিচিত নাম নন্দী সিস্টার্স। অন্তরা আর অঙ্কিতার জুটি এখন টক অফ দ্য টাউন। করে ফেলেছেন প্রথম বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক। হিট ছবি রক্তবীজের সুপারহিট ডান্স নম্বর ‘নাক্কু নাকুড়’-এ শোনা গিয়েছে তাঁদেরই গলা। সঙ্গে মনামির পুজোর গান ‘আইলো উমা’-ও গেয়েছেন অন্তরাই। সঙ্গে নন্দী সিস্টার্সের ফলোয়ার্সের সংখ্যা যে কোনও বাঘা বাঘা গায়ক-গায়িকাকে লজ্জায় ফেলে দিতে পারে।
তবে ছোটবেলায় বোন অঙ্কিতার সঙ্গে প্রায়ই তুলনা করা হত অন্তরার। শুধু তাই নয়, অনেকেই নাকি খোঁটা দিতেন বোনের গলাই বেশি মিষ্টি। বোনের জন্য গর্ব হলেও, মন খারাপ হত মাঝে মাঝে অঙ্কিতার। জোশ টকস বাংলাকে অন্তরা জানালেন, ‘একজন আসতেন আমাদের বাড়িতে আমাদের গানের রেওয়াজ করাতে। ও তো বসতই না রেওয়াজে। তাও যখন গাইত উনি মুগ্ধ হয়ে ওর গান শুনতেন। বলতেন বাঁশির মতো ওর গলা। শুনে আমার মাঝে মাঝে রাগ হয়ে যেত। ভাবতাম, ভোর পাঁচটায় উঠে সা আমি লাগাচ্ছি, আর ওর প্রশংসা করছে সবাই!’
জীবনের স্ট্রাগলও তুলে ধরেন অন্তরা। ভাগ করে নেন, ১০-১১ বছর বয়সে একদিন একটা রেকর্ডিং-এর পর এক সেলেব্রিটি তাঁকে বলেছিল, গান তাঁর দ্বারা হবে না। তাঁর গলা ভালো না। ভেঙে পড়েছিলেন ছোট্ট অন্তরা। শুধু তাই নয়, সেই সময় ভয়েস চেঞ্চ পিরিয়ড আসে অন্তরার। গলায় সমস্যার কারণে বন্ধ রাখতে হয় গান।
অঙ্কিতা জানান, ‘একটা সময় দেখতাম আমি গুনগুন করছি য়খনই, লোক আমার প্রশংসা করছে। প্রথমে খুব ভালো লাগত। পরে বুঝতে পারতাম লোক আমার তখনই প্রশংসা করছে যখন দিদি আশেপাশে, বা ওর মন খারাপ। আর আমি তো কোনওদিনই মিউজিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। একটা জিনিস আমার কাছে স্পষ্ট, গান যদি আমার আর দিদির মধ্যে বাধা হয়ে আসে, আমি সেখান থেকেই সরে দাঁড়াব।’
অন্তরা এরপর বলেন, ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকালের এক ট্রেনিং নেওয়ার সুযোগ পান তিনি। সঙ্গে গিয়েছিলেন বোন অঙ্কিতাই। আর সেই ট্রেনিং শেষে নিজের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। সেখান থেকে ফিরে হোটেলে বসে গান গেয়ে মা-কেই চমকে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘একটার পর একটা লতার গান গাইছিলাম সেদিন। যেই স্কেলে আমার গলা পৌঁছত না, সেটাই করতে পারছিলাম। আমার আর মায়ের, দুজনের চোখ থেকেই জল পড়ছিল।’
সোশ্যাল মিডিয়ার জার্নি নিয়েও কথা বলেন দুই বোন। জানান, কীভাবে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল তাঁদের ভাগ্য।