ভালো নেই হাঁদা-ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেটের স্রষ্টা। ৯৭ বছর বয়সী প্রবীণ কার্টুনিস্ট সাড়া দিচ্ছেন না চিকিত্সায়। শনিবার রাত থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। এই মুহূর্তে বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নারায়ণ দেবনাথ। তাঁর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা ডাঃ সমরজিৎ নস্কর জানিয়েছেন, চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন না বর্ষীয়ান কার্টুনিস্ট। এর আগে বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন শিল্পী, কিন্তু তাতেও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমছিল। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর বার্ধক্যজনিত অসুস্থার জেরে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীন কার্টুনিস্টকে। বর্ষীয়ান শিল্পীর চিকিৎসায় এবার পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁর চিকিত্সার জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে মিন্টো পার্ক লাগোয়া এই বেসরকারি হাসপাতালের বেডেই তাঁর হাতে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেওয়া ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন নারায়ণ দেবনাথের। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শাল-মিষ্টিও পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেও নারায়ণবাবুকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। তখনও অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল তাঁর। তখন স্মৃতিশক্তির পরীক্ষা করতে সাদা কাগজ তুলে দেওয়া হয় কার্টুনিস্টের হাতে। আর ফটাফট সাদা কাগজে বাঁটুলকে। ছোটদের কাঁছে এখনও তাঁর সৃষ্টিতে তৈরি ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ২০১৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান নারায়ণ দেবনাথ। আর ২০২১ সালে পান পদ্মশ্রী, যে পুরস্কার দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত ১৩ই জানুয়ারি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।