সোমবার ৩৪ বছরে পা রাখলেন নেহা কক্কর। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে একসময় আউট হয়ে গিয়েছিলেন নেহা, সেই শো-রই বিচারকের আসনে বসে সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি। বিগত কয়েক বছরে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা হিসেবে নিজের জায়গা করেছেন তিনি। ‘গরমি’, ‘আঁখ মারে’র মতো হিট গান তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।
‘ইন্ডিয়ান আইডল’ চলাকালীন প্রায়ই চোখের জল ফেলতে দেখা গিয়েছে নেহাকে। কোনও প্রতিযোগীর কঠিন জীবনসংগ্রামের কাহিনি শুনলেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেন না তিনি। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর ১০ নম্বর সিজনের একটা এপিসোডে দেখা গিয়েছিল এক প্রতিযোগীকে দেখে প্রথমে চমকে ওঠেন নেহা। তারপর সহ-বিচারক হিসেবে পাশে বসে থাকা অনু মালিক আর বিশাল দাদালানিকে বলে ওঠেন, আমি একে চিনি। ও আমার পুরনো বাড়িওয়ালার ছেলে।
নেহা তখনই জানান হৃষিকেশের থাকা কালীন জাগ্রাতা-তে গান গাইতেন নেহা। সেই জাগ্রাতা চালাতেন এই ব্যক্তি। নিজেও গান গাইতেন। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির বাড়িতে থাকতেনও তাঁরা। এমনকী, প্রয়োজনে বাড়িওয়ালারা তাঁদের তিন ভাইবোনকে খেতেও দিত।
নেহা বলেন, ‘দু:খের ব্যাপার ওই সময় আমরা খুব গরীব ছিলাম। খুবই গরীব ছিলাম আমরা। ওই সময় ওর বাবা আমাদের খুব সাহায্যও করেছিলেন। ওর বাবা-মা আমাদের খাবার খাওয়াত। আমরা কিছুদিনের জন্য ওর বাড়িতেই ছিলাম।’
এরপরই প্রয়াত বাবার স্মৃতিতে ওই প্রতিযোগীকে গান গাইতে অনুরোধ করেন নেহা। আর সেই ছেলেটি ‘পাপ’ ছবির ‘লগে মন কি লাগান’ গেয়ে শোনান। যা শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নেহা। এরপর স্টেজে আসেন ওই বাড়িওয়ালার বউ-ও। তিনিও পুরনো সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, কীভাবে ছোট বয়সেই সারা রাত জাগ্রাতায় গান গাইতেন সোনু আর নেহা। এমনকী, সেই সময় সোনুর মুখ পোস্টারে ব্যবহারও করা হত।