১৫ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন সৌরভ দাস এবং দর্শনা বণিক। কলকাতা শহরে বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে হয়েছিল বিয়ের আয়োজন। নিমন্ত্রিত ছিল টলিউডের বড় একটা অংশ, নিমন্ত্রিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। দুজনের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত বেশ চমকেই দিয়েছিল সকলকে। তাঁদের প্রেম নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই, কিন্তু বিয়েটা যে হয়ে যাবে ২০২৩ সালে, তা বোঝেননি কেউই।
সম্প্রতি হইচইয়ের হয়ে বরকে নিয়ে কিছু প্রশ্নের জবাব দেন দর্শনা। বিবাহিত সঙ্গীর কোন স্বভাব খারাপ আর সবচেয়ে ভালো জানতে চাওয়া হলে জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘ও যখন কোনও কাজ করে, তাতে এতটা নিজের মনযোগ দিয়ে ফেলে। সেটাই ওর ধ্যানজ্ঞান হয়ে যায়। জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্তেও এতটাই নিজেকে ইনভলভড করে ফেলে, আশপাশটা আর দেখতে পায় না। যখন ক্যাফে শুরু করছিল, দিনরাত ওটা নিয়েই পড়ে। মনে হত তখন ওর ক্যাফের ব্যবসাটাই ওর সবকিছু, ধ্যানজ্ঞান। এটা আছে ওর। এটাই ওর প্লাস পয়েন্ট আবার এটাই মাইনাস পয়েন্ট।’
এরপর দর্শনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বরকে তিনি দশের মধ্যে কত নম্বর দেবেন? যাতে একটু মস্করা করেই বলেন, এখনও তো সবে কিছুদিন হয়েছে, এখন সবই ভালো লাগছে। ১০-এ ১০ দেব।
প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে সাতপাক ঘোরা, মালাবদল, সিঁদুরদান, সৌরভ-দর্শনার বিয়ের প্রতিটি মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যালে। বরের সাজে সৌরভ যেমন মন কাড়েন, তেমনই বেনারসিতে দর্শনা। সৌরভের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা আর বোন। তবে ওঁরা থাকেন বেহালায়। আর দর্শনা আর সৌরভ থাকেন সৌরভের চেতলার ফ্ল্যাটে।
বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে দর্শনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘২০২১ সাল থেকে পরপর কাজ করেছি। ২০২২ সাল থেকে কাছাকাছি আসি। সম্পর্কটা ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। যতদিন না বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। লিভ ইনে বিশ্বাসী নই আমি সেভাবে। সৌরভ আর লিভ ইনে যেতে চায়নি। ঠিক করেছিলাম, সব ঠিকঠাক থাকলে জলদি বিয়ে করে নেব।’
এর আগে দর্শনার প্রেম নিয়ে সেভাবে টলিউডে চর্চা না থাকলেও, সৌরভ সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা বসুর সঙ্গে। একসঙ্গে ‘গুটিমল্লার’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সৌরভ অনিন্দিতা। সেখান থেকেই শুরুয়াত হয়েছিল বন্ধুত্ব আর প্রেমের। সৌরভ যদিও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অনিন্দিতার প্রতি ক্রাশ খেয়েছিলেন বউ কথা কও দেখে। দুজনে একসময় টানা লিভ ইন করেন। তবে ২০২১ সাল থেকেই তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ সামনে আসতে থাকে। যদিও বিচ্ছেদের পরেও একে-অপরকে নিয়ে সেভাবে মুখ খোলেননি কেউই।