সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না বাংলা। সংসার ছেড়ে অপুর বিদায়ে মন খারাপ বাঙালি। প্রবাদপ্রতিম এই অভিনেতাকে স্মরণ করে দু-বছর আগে ফিরলেন শুভশ্রী।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বাঙালির পছন্দের রোম্যান্টিক হিরো। এই মামলায় সমালোচকরা উত্তম কুমারকে এগিয়ে রাখলেও, সৌমিত্র ভক্তের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ‘তিন ভুবনের পারে’ ছবির জীবনে কী পাব না গানটি বাঙালির চিরকালের অন্যতম সেরা পার্টি অ্যান্থম। এই গানে সৌমিত্র নাচ, তনুজার সঙ্গে তাঁর রসায়ন আজও ভোলা যায় না। ৮৩ বছরের তরুণ সৌমিত্রকে দু বছর আগে এই গান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। জানতে চেয়েছিলেন আজকে যদি এই গানটি পুনরায় শ্যুট করা হয়, তাহলে এই প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে থেকে কাকে বেছে নেবেন নিজের নায়িকার ভূমিকায়? একটুকু সময় নষ্ট না করে সৌমিত্রবাবু জবাব দিয়েছিলেন শুভশ্রী।
২০১৮ সালে অগস্ট মাসে কালার্স বাংলার গেম শো ‘কে হবে বাংলার কোটিপতি’তে এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এই জবাব শুনে সঞ্চালক প্রসেনজিত্ তত্ক্ষণাত বলে বসেন ‘শুভশ্রী এই কথা শুনলে একেবারে অজ্ঞান হয়ে যাবে’। সেই সময় এই ভিডিয়ো শেয়ার করে রাজ ঘরনি লিখেছিলেন- এ তো খোলা চোখেই স্বপ্ন দেখছি৷ সত্যিই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি অভিনেতার মুখ থেকে এ কথা শুনে যেন আমি আকাশে উড়ছি৷ নিজেকে সম্মানিত মনে করছি'।
এই সব স্মৃতিগুলি ঘুরেফিরে আসছে শুভশ্রীর মনে। সোমবার এই ভিডিয়ো পুনরায় নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে শেয়ার করে শুভশ্রী লেখেন- ‘জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত’।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বাঙালির আইকন। আট থেকে আশি- সকলকে নিজের অভিনয়ের জাদুতে ছয় দশক ধরে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন তিনি, আগামিতেও একইরকমভাবে বাঙালি মনের মণিকোঠায় বসিয়ে রাখবে তাঁদের প্রাণের অপু, প্রিয় ফেলু মিত্তিরকে। কখনও উদয়ণ পন্ডিত হয়ে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন,কখনও খিদ্দা হয়ে সাহস জুগিয়েছেন। সৌমিত্রর তুলনা তিনি নিজে… তাঁর প্রতিভা, তাঁর দক্ষতাকে কোনও শব্দবন্ধনীতে বাঁধা যায় না। শুধু দু-হাত জোর করে তাঁকে প্রণাম করা যায়।