একেই হয়ত বলে আবেগ, ভালোবাসা। অনুরাগীরা হয়ত এমনই হন। ঠিক যে ভালোবাসা, আবেগের কারণে সেই বর্ধমান থেকে কলকাতা পৌঁছে গেলেন অঙ্কুশের অনুরাগী বিপ্লব দাস। নাহ, আর পাঁচজনের মতো ট্রেনে, বাসে বা গাড়িতে তিনি আসেননি। এসেছেন সাইকেল চালিয়ে।
এবার অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হওয়ারই তো কথা। বর্ধমান তো আর পাশের পাড়া নয়। বর্ধমান থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১০২ কিলোমিটার রাস্তা। হ্য়াঁ, এই গোটা রাস্তাটাই সাইকেল চালিয়ে প্রিয় তারকা, অঙ্কুশের কাছে পৌঁছন বিপ্লব। এদিন দেখা করতে আসার সময় বিপ্লব পরেছিলেন মির্জার পোস্টার লাগানো একটা সাদা টি-শার্ট। এদিন বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলার সময় অঙ্কুশ জানতে পারেন, বিপ্লব কলকাতা পৌঁছানোর জন্য ভোর ৪টের সময় বের হয়েছিলেন। আবার দেখা করে ফেরার সময় সাইকেল করেই আবার বর্ধমান ফিরে যাবেন।
আরও পড়ুন-'ডিমের কুসুম, ব্যাটারির কালিও মেখেছি আর স্নানে গিয়ে… এবার তো দীপঙ্করের সঙ্গেই দোল…: অহনা
আরও পড়ুন-‘আমি বাবা হতে পারিনি তো কী আছে, ঈশিতা আদর্শ জীবনসঙ্গী' ৩৮ বছরের সম্পর্ক নিয়ে বললেন শুভাশিস
শুধু অঙ্কুশই নন, বিপ্লবের কাণ্ডে অবাক হয়ে যান 'মির্জা' অঙ্কুশের বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সেনও। বিপ্লবের কাণ্ডে অবাক হয়ে ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘সাইকেল করে বর্ধমানে ফিরলে তো মাঝরাত হয়ে যাবে, নয়ত আজ পৌঁছানোই হবে না।’ বিপ্লব তখন বলেন, ‘অসুবিধা নেই, বর্ধমান টাউনেই বাড়ি আমার।’ অঙ্কুশ বাধা দিয়ে একটু উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘কী বলছিস! বর্ধমান টাউনে বাড়ি তো কী হয়েছে! বর্ধমান কী এখানে…আমি তো ভাবতেও পারছি না, স্পিচ লেস’।
ঠিক সেসময় একজন বলে ওঠেন, অঙ্কুশদা হয়ত ঠিক ‘feel’ করতে পারছেন না। এমন কথায়, বেজায় চটে ঐন্দ্রিলা বলে ওঠেন, ‘ও কোথা থেকে ফিল করবে! গাড়ি নিয়েও তো টাইমে পৌঁছে দিতে পারে না আমায়, কোথা থেকে ফিল করবে ও…’।
ঘটনাচক্রে অঙ্কুশ নিজেও বর্ধমান শহরের ছেলে। বর্তমানে অবশ্য তিনি কলকাতাতেই থাকেন। প্রসঙ্গত, আগামী ১০ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে অঙ্কুশ হাজরার মির্জা। বহুদিন ধরে এই ছবির জন্য অপেক্ষা করে আছেন অঙ্কুশ অনুরাগীরা। ছবিতে অঙ্কুশের নায়িকা ঐন্দ্রিলা। তাঁর চরিত্রের নাম মুসকান।