দীর্ঘদিনের বন্ধু পহেলি সাহাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন শতরূপ ঘোষ। চলতি মাসের ৫ তারিখে তাঁরা সইসাবুদ করে বিয়ে করেন। না, এই সিপিআইএম যুবনেতার বিয়েতে কোনও ধর্মীয় আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছিল না। কেবল সই এবং মালাবদল করেই তাঁরা আজীবন একসঙ্গে পথ চলার শপথ গ্রহণ করেন। যুবনেতা এবং দারুন বক্তা হওয়ার দরুন শতরূপের একটা ফ্যানবেস আছেই। তাই বলে তাঁর ঘরণীও কিন্তু পরিচিতির দিক থেকে মোটেই পিছিয়ে নেই।
একসঙ্গে কলেজে পড়াশোনা থেকে, বহু মিছিলে হাঁটা, সবেতেই তাঁরা একে অন্যের পাশে ছিলেন। ১৪ বছরের বন্ধুকে বিয়ে করার পর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা গিয়েছে পহেলিকে। ১৪ বছর আগে তাঁরা কেমন ছিলেন, তাঁদের সম্পর্কের শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল সবটাই সেই ছবি বা তার ক্যাপশনে উঠে এসেছে।
বিয়ের দিন পহেলি একটি মেরুন রঙের বেনারসি শাড়ি পরেছিলেন। সঙ্গে ছিল সোনার গয়না। শতরূপও স্ত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি মেরুন পাঞ্জাবি পরেছিলেন।
তবে বিয়ের মাত্র পাঁচদিন কাটতে না কাটতেই পহেলি পৌঁছে গেলেন ১৪ বছর আগে। তিনি সেই সময়কার যে ছবি পোস্ট করেছেন সেটা দেখে শতরূপ বা পহেলিকে চেনা দায়! তাঁরা একসঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই তাঁরা একটি ছবি তুলেছিলেন। এবার সেই ছবিই ফেসবুকে পোস্ট করে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি। সেই ছবি এবং বর্তমান সময়ের মাঝে ১৪ বছরের গ্যাপ।
পহেলির পোস্ট করা ছবি দেখে বোঝা যায় শতরূপ এবং তিনি দুজনেই তখন বেশ রোগা ছিলেন। তাঁদের বয়সও তখন অল্প। আর সেই ছবির সঙ্গেই বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন পহেলি। দুটো ছবিকে পাশাপাশি দেখে অনেকেরই রূপকথার গল্প মনে হয়েছে।
পহেলি এই ছবির ক্যাপশনে লেখেন, 'এ ভাবেই চলতে থাকবে।' তাঁর এই পোস্ট থেকে অনেকেই তাঁদের অতীতের সময়ের কথা, বন্ধুত্বের কথা জানতে পারেন। এত দীর্ঘদিনের সম্পর্কের শুভ পরিণতি দেখে অনেকেই মুগ্ধ হন। শুভেচ্ছা বার্তা জানান। তাঁর এই পোস্ট বহু শেয়ার হয়।
শতরূপ-পহেলির বিয়েতে সিপিআইএমের বহু নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিমান বসু তো তাঁর বিয়ের সাক্ষী হিসেবে সই করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুদীপ সেনগুপ্ত, প্রমুখ।