'গদর: এক প্রেম কথা'-সানি দেওল-আমিশা প্যাটেলের এই সিনেমা তো বহু মানুষের পছন্দের। তবে সেই একই গল্প যদি বাস্তবেও ঘটে! ঘটেছেও তাই। সীমা হায়দার ও সচিন মিনার প্রেমের কথা এখন অনেকেই জেনে ফেলেছেন। একদিন নাকি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সচিন মিনাকে ভালোবেসে পাকিস্তান থেকে এদেশে চলে এসেছিলেন সীমা। তারপর থেকে ভারতেই রয়েছেন তাঁরা। তবে সম্প্রতি উপযু্ক্ত নথি ছাড়া সীমার ভারতে চলে আসা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি প্রশ্ন উঠেছে সীমা আদপে পাকিস্তানের চড় নন তো? কোনওভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচর, গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সীমা এবং সচিনকে আটকও করা হয়। তাঁরা আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। যদিও এদেশের সরকারের কাছে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে একসঙ্গে থাকার অনুমতি চেয়েছেন সীমা ও সচিন। এদিকে সীমা এবং সচিন আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন জানতে পেরে সীমা-সচিনকে নিজের সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন বলিউড প্রযোজক অমিত জানি। যিনি আবার কিনা উত্তরপ্রদেশের নবনির্মাণ সেনার সভাপতিও বটে।
আরও পড়ুন-সহ অভিনেতার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনের মাঝেই কি বিয়ে সেরে ফেললেন 'জগদ্ধাত্রী' অঙ্কিতা?
আরও পডুন-জয়-মাহির বিয়েতে নিমন্ত্রণ সত্ত্বেও কেউ আসেননি, কিন্তু কেন? খোলসা করলেন অভিনেতা
অমিত জানি জানান, তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে সীমার সীমান্ত পার করে এদেশে চলে আসার বিরোধিতা করেছিলেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি এই বিরোধিতার জন্য অনুশোচনা করেছেন। আর সীমা -সচিন আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জানতে পেরে সীমা-সচিনকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। অমিত জানির এই ছবির নাম 'A Tailor Murder Story। যে ছবিটি কিনা উদয়পুরে দর্জি কানহাইয়া লাল সাহু হত্যার ঘটনা নিয়ে। আর এই ছবিতেই নাকি RAW এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এদিকে সীমা-সচিনকে সিনেমায় কাজের প্রস্তাবের পর থেকেই হুমকি পেয়েছেন প্রযোজক, সিনেমা নির্মাতা অমিত জানি। এমনই অভিযোগ এনেছেন তিনি।
অমিত জানির দাবি, 'আমি আজ একটা ভাইরাল ভিডিয়ো দেখলাম। যেখানে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা অভিষেক সোম আমায় হুমকি দিচ্ছেন। বলেছেন আমার সিনেমার সেটে ভাঙচুর করবেন। উনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করারও হুমকি দিয়েছেন। এদিকে এই হুমকির ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রযোজক অমিত জানি।