ঠিক যেন ছোট্ট একটা পরী। গায়ে সাদা রঙের পোশাক। মাথায় ওড়না। কোনও ফ্যান্সি ড্রেন্স কম্পিটিশন বা কোনও নাচের অনুষ্ঠানের জন্য সেজেছে কোনও ছোট্ট একটি মেয়ে। ডল পুতুলের মতো সুন্দর আর মিষ্টি দেখাচ্ছে। তবে এই কন্যে বড় হয়েও কিন্তু এরকমই সুন্দরী। ঝড় তুলতে পারেন পুরুষ হৃদয়ে। তিনি বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় নায়িকা।
চলুন আপনাদের সঙ্গে কিছু ক্লু শেয়ার করে নেওয়া যাক! সবে এই নায়িকার একটি বাংলা ধারাবাহিক শেষ হয়েছে। নাগিনের নকল করে বাংলা বানানো হয়েছিল সিরিয়ালটি। আশা ছিল, হিন্দির মতো বুঝি বাংলাতেও খুব করে ভালোবাসা পাবে। যদিও তা হয়নি। তারওপর এই সিরিয়ালের নায়ক মাঝপথে কাজ ছেড়ে দেন।
বুঝে গেলেন নিশ্চয়ই কোন সিরিয়ালের কথা হচ্ছে? সেই সিরিয়ালে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন এই নায়িকা। মানে নাগিন হয়েছিলেন। ঠিকই বুঝেছেন সিরিয়ালের নাম পঞ্চমী। আর সেই নায়িকার নাম সুস্মিতা দে। আরও পড়ুন: বিদেশে রাজকীয় হানিমুন সুদীপ্তার! নতুন বউকে কোথায় নিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা সৌম্য?
সুস্মিতা ছবিখানা শেয়ার করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সেই দিনটার স্বপ্ন দেখুন, যখন স্বপ্ন সত্যি হবে। রাধে রাধে।’
সুস্মিতার ছবিখানা দেখে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন তাঁর অনুরাগীরা। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘কী মিষ্টি কী মিষ্টি!’ দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘ছোটবেলার আরও ছবি দিও দিদি তুমি। দেখব।’ আরও পড়ুন: ভালোবাসার চুম্বন, মাখামাখি আদরে! শুভশ্রী কি তবে ‘বোনুয়া’ পাতালেন মৌনির সঙ্গে?
‘অপরাজিতা অপু’ সিরিয়াল দিয়ে ছোট পর্দায় পথ চলা শুরু হয়েছিল সুস্মিতার। খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সিনেমাটি। এরপর তিনি কাজ করেন ‘বৌমা একঘর’-এ। মাত্র দু-মাসেই বন্ধ হয়েছিল সেই সিরিয়াল খারাপ টিআরপি-র কারণে। এরপর আসে ‘পঞ্চমী’। কিন্তু নাগকন্যা হিসেবে যতটা সাফল্য আশা করা হয়েছিল, তা আসেনি। টিআরপি-র লড়াইয়ে কিছুতেই ‘রাঙা বউ’-কে টেক্কা দিয়ে উঠতে পারেনি ‘পঞ্চমী’। ফলে আট মাসের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই সিরিয়ালকেও। সেই জায়গাতেই শুরু হয় ‘লাভ বিয়ে আজকাল’।
যদিও ‘পঞ্চমী’ বন্ধ হওয়া নিয়ে কোনও মনখারাপ নেই বলেই সুস্মিতা জানিয়েছিলেন, ‘শুরু থাকলে শেষও থাকবে। তাই মনখারাপ হলেও মেনে নিচ্ছি। তবে, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল ফল করেছে ধারাবাহিক। আমার তাই আফসোস নেই।’ এই ধারাবাহিকে সুস্মিতার বিপরীতে ছিলেন রাজদীপ গুপ্ত। ধারাবাহিক শেষ হওয়ার মাসখানেক আগেই ‘পঞ্চমী’ ছেড়েছিলেন রাজদীপ। সিরিয়ালকে বাঁচাতে কালনাগিনী হিসাবে এন্ট্রি নিয়েছিলেন শিঞ্জিনী চক্রবর্তীও। তবে তাতেও বাঁচানো যায়নি পঞ্চমীকে।