চলতি বছরের পয়লা মে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন টলিউড অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেমিক, তৃণমূলের যুবনেতা সৌম্য বক্সীর গলাতেই মালা দেন তিনি। বেশ ধুমধাম করেই বিয়েটা হয়েছিল দুজনের। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাড়া ফেলেছিলেন নতুন জুটি হিসেবে সুদীপ্তা আর সৌম্য। বিয়ের পরই নাম বদলে সুদীপ্তা বক্সী করে নেন অভিনেত্রী। তবে কাজের চাপ থাকায় হানিমুনটা করা হয়নি। সে সাধ পূরণ হল বিয়ের চার মাসের মাথায়। দেশে নয়, বউ নিয়ে সোজা বিদেশে সৌম্য।
বছর চারেকের প্রেম সুদীপ্তা আর সৌম্যর। বিয়ের পর অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের বিয়ে নিয়ে যে ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা আমরা পেয়েছি তাতে আপ্লুত। নিজেদের পাশে আরও বৃহৎ একটা পরিবারকে পেয়েছি, যা আমরা আশাও করিনি। আমরা যা দেখেছি, পড়েছি বা যারা যারা আমাদের বিয়ের আনন্দ ভাগ নিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ দিয়েও শেষ করতে পারব না। আমরা আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু করছি এটা জেনে যে আপনারা সবসবময় আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের পরিবার, বন্ধু, মিডিয়ার বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ আমাদের বিশেষ দিনে পাশে থাকবার জন্য।’ আরও পড়ুন: পর্ন মামলার ‘আসামী’ সিনেমার ‘নায়ক’! রাজ কুন্দ্রাকে নিয়ে বায়োপিক বানাচ্ছেন ফারহা খান?
তা কোথায় গেলেন সুদীপ্তা-সৌম্য? দিন দুই আগে এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে ওঠার আগে দুজনের স্নিকার্স পরা পায়ের ছবি দেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘au revoir’। কথাটি ফ্রেঞ্চ। বাংলায় যার অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘বিদায়’।
আরও পড়ুন: কাপুর পরিবার থেকে তিনিই প্রথম পাশ করেন মাধ্যমিক! কতদূর লেখাপড়া রণবীরের?
এরপর দুটি পাসপোর্টের ছবিও শেয়ার করেন তিনি। সঙ্গে প্লেনের টিকিট। তারপরেই রিল ভিডিয়োতে দেখা মেলে প্যারিসের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারের। অর্থাৎ বরকে নিয়ে রোম্যান্টিক ইউরোপ সফরে সুদীপ্তা।
সুদীপ্তা আর সৌম্য দুজনকেই একসঙ্গে দেখতে খুব পছন্দ করে নেটপাড়া। ভালোবেসে ‘রাজযোটক’, ‘পাওয়ার কাপল’ কতই না নাম দেওয়া হয়েছে। সুদীপ্তার ইনস্টা স্টোরিতে একফ্রেমে ধরা পড়লেন নব দম্পতি। দেখুন সেই ছবি-
তিন বছরের প্রেম ছিল সুদীপ্তা আর সৌম্যর। বছর দেড়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের আগে থেকেই বক্সী পরিবারের সঙ্গে আলাপ পরিচয় ছিল। তাই শাশুড়ি স্মিতা বক্সীর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও কোনও সমস্যা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল প্রায়ই বরের সঙ্গে মাখোমাখো প্রেমের ছবি শেয়ার করে থাকেন তিনি। যা দেখে বোঝা যায়, ভালোবাসায় খাচ্ছেন হাবুডুবু।