মিঠাই হয়ে গত আড়াই বছর ধরে হাজার হাজার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। এবার বড় পরদায় পা রাখার পালা। মিঠাই-শেষ হওয়ার আগেই সৌমির কাছে এসে গিয়েছিল দেবের নায়িকা হওয়ার সুযোগ। ছোট পরদার নায়িকা হিসেবে যা নিসন্দেহে বড় খবর। যার জন্য কম ট্রোল হয়নি টিভির মিঠাই-রানিকে ঘিরে। একাংশ বলতে থাকে, দেবের পা চেটে তিনি তিনি ‘প্রধান’ সিনেমায় কাজের সুযোগ পেয়েছেন।
মঙ্গলবারই ‘প্রধান’-এর পরিচালক ও প্রযোজক অভিজিৎ সেন এবং অতনু রায়চৌধুরীর সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেন সৌমিতৃষা। লেখেন, ‘একটা সন্ধ্যা আমার মেন্টরদের সঙ্গে। অতনুস্যার এবং অভিজিৎদা।’
সৌমির প্রশংসায় অতনুকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা দুজনেই অবাক ওর ডেডিকেশন দেখে। আমি নিশ্চিত ও অনেক দূর যাবে। একটা শিল্পী তাঁর চরিত্র নিয়ে এত ভাবনা চিন্তা করছে, কেউ নেই অফিসে ও একা পড়ে আছে, অবিশ্বাস্য। আমি কালকে রাতেই অভিজিতকে বলেছি, অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। এরকম ডেডিকেশন কারও মধ্যে দেখিনি। ভাবা যায় না।’
‘ও শুধু বলছে আমি সিনেমার প্রসেসের মধ্যে থাকতে চাই। কোনওদিন সিনেমা করিনি জানতে চাই সিনেমাটা কী করে হয়। এটা তো ওর ভিতর থেকে এসেছে, কেউ শিখিয়ে দেয়নি!’, মিঠাই-রানির থুরি প্রধান-নায়িকার প্রশংসায় আরও বলেন অতনু।
অভিজিতের মুখে উঠে আসে সেই দিনটার কথা, যেদিন প্রথম অতনু তাঁর কাছে নায়িকা হিসেবে সৌমিতৃষার নাম সামনে আনেন। জানেন হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন তিনি আনন্দে। তাঁরও মনে হয়েছিল ‘পারফেক্ট চয়েজ’।
অতনু বলতে থাকেন, ‘ও তো এই মুহূর্তে টিভির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। অভিনয় না জানলে কেউ এতটা জনপ্রিয়তা পেতে পারে না। সেটা ও নিজের ক্ষমতায় করে দেখিয়েছে। আমার নিশ্চিত সঠিক চরিত্রায়ন হয়েছে।’
এর আগে সৌমিতৃষা নিজের হেটার্সদের নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দু'টো শ্রেণির মানুষ থাকেন। একদল হয়, অন্যের সাফল্য দেখে যারা অনুপ্রাণিত হয়। ভাবে ও এতো খাটছে তাহলে আমাকে পরিশ্রম করতে হবে। অন্য একদল হয়, ও বাবা… সাফল্য এমনি এসে গেছে। আমিও করেছি প্রচুর। দ্বিতীয় দল কিন্তু জীবনে কোনওদিন সাফল্যের মুখ দেখতে পায় না। কারণ তারা সামনের মানুষকে পিছনে টানতে চায়।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)’