একেবারে লাইভে এসে বিয়ে করেছিলেন চিরদিনই তুমি যে আমার জুটি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় আর প্রিয়াঙ্কা সরকার। প্রথম সিনেমাই তাঁদের দিয়েছিল হিট অভিনেতার খেতাব। জুটি হিসেবে শুধু দর্শক মনেই জায়গা করেননি, একে-অপরকেও জায়গা করে দিয়েছিলেন জীবনে। ২০১০ সালে চার হাত এক হয়েছিল। ছেলে সহজও এসেছিল কোলে। তবে ২০১৭ সালে আলাদা হয়েছিল রাস্তা। দুজনেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা ডিভোর্স নিতে চলেছেন।
তবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শেখালেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’! ২০২০-র করোনাকালীন পরিস্থিতি ও লকডাউন কাছাকাছি আনেন তাঁদের। ২০২৩ সালে জানা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা উঠিয়ে নিয়েছেন। একসঙ্গে আছেন তাঁরা। সহজের কথা ভেবে নিজেদের সম্পর্ক ফের একবার ‘সহজ করা’র চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: ৪টে ফ্ল্যাট, ১টি গাড়ি, কয়েক ভরি সোনা! বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না!’ সঙ্গে অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন, তিনি ও রাহুল যে একই ফ্ল্যাটে থাকেন, সেই খবরও ভুল। তাহলে কি ইক্যুয়েশন এখন তাঁদের? নিবেদিতা অনলাইনকে রাহুল জানালেন, ‘প্রিয়াঙ্কা ওর মা-বাবার সঙ্গে থাকে। আমার সঙ্গে আমার মা থাকে। সহজ স্কুল থেকে ফেরার পর আমি কাজ না থাকলে ওখানে থাকি। প্রিয়াঙ্কা যে কটাদিন ছুটি পায় এই বাড়িতেই ল্যাদ খায়। আমরা একসঙ্গে প্রচুর খাওয়া দাওয়া করি। এখন এভাবেই দিন কাটছে।’
আরও পড়ুন: সলমন আসতে চাহিদা বেড়েছে, আর বিনা পয়সায় দেখা যাবে না বিগ বস ওটিটি?
যে জুটি নিয়ে দর্শকদের এত পাগলামো, এত মাতামাতি। যারা আলাদা হয়ে ফের একসঙ্গে আসায় আনন্দে মেতেছিল দর্শকরা, তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল? আর ঠিকই বা হল কী করে? রাহুল জানালেন, ‘সময়। আমারা একসঙ্গে এসেছি কারণ বুঝতে পেরেছি একার কারও দোষ ছিল না। বিচ্ছেদ না হলে যে প্রিয়াঙ্কাকে আমরা দেখছি, বা রাহুলকে আমরা দেখছি তা হয়তো দেখতে পেতাম না। আমিও বুঝতাম নিজের ১০০ শতাংশ দিতে পারছি না। আমার এই বোঝাটা প্রিয়াঙ্কার উপরে চলে আসত। তারপর ও নিজেও ১০০ শতাংশ দিতে পারত না।’
আরও পড়ুন: ‘আপনারা প্লিজ ভদ্র হবেন?’, জয়া বচ্চনের ঢঙে রেগে কাঁই শাহিদ, লাগালেন ধমক
রাহুল আরও জানালেন, ‘আমি সহজ হওয়ার আগে প্রিয়াঙ্কার ১০০ শতাংশ মনযোগ পেতাম। ছেলে হওয়ার পর সহজের দিকে ওটা পুরো চলে এল। আমিও একটু একা হয়ে গেলাম।’
তবে ছেলে না থাকলে হয়তো এক হওয়া হত না। সেই কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না অভিনেতা। বললেন, ‘ছেলের জন্য তো আমাদের মাঝেমাঝেই কথা হত। আমাদের যোগাযোগ থেকেই গিয়েছিল। আর এত বছর ধরে আমরা চিনি একে-অপরকে। চিরদিনির আগেও তো আমরা একসঙ্গে অনেক সিরিয়াল করেছি। দুজনে দুজনের অভাব বোধ করছিলাম। ছেলেও এমন বয়সে এসেছিল, যখন ওর কিছু স্থির উত্তর দরকার। আমরাও দেখলাম, আমাদের দুজনের দুজনকে বেশি ভালো লাগে, কথা বলতে ভালো লাগে, বুঝতে পারি অনেক বেশি। কেউ কাউকে কখনও বিচার করব না। আর সব মিলিয়েই বুঝতে পারি আমরা একে-অন্যের জন্য পারফেক্ট।’