বিজয়াতে প্রেমে সিলমোহর দিয়েছেন রাহুল-দেবাদৃতা। আর লক্ষ্মীপুজোটাও একসঙ্গেই কাটালেন তাঁরা। প্রতি বছরই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে থাকেন দেবাদৃতা। প্রথমবার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে কাটলো তাঁর কোজাগরী। লাল শাড়িতে ঝলমলে পর্দার ‘আলো’। পাশে সবুজ রঙা ফতুয়ায় রাহুল দেব বসু (Rahul Dev Bose)।
একসঙ্গে সিরিয়াল করতে গিয়ে প্রেমে পড়াটা নতুন নয়। রাহুল-দেবাদৃতার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল ঠিক এমনটাই। কিন্তু শুরুটা কীভাবে হল? মনের কথাই বা প্রথম কে প্রকাশ্যে এনেছিল? রাহুল-দেবাদৃতার প্রেমের অনুঘটক নায়িকার ছোট বোন, দেবপ্রিয়া। তাঁর কথায়, ‘আমি দিদিকে বলেছিলাম,এতজনকে তো দেখলাম রাহুলদাদা কিন্তু সত্যি ভালো ছেলে’। রাহুল-দেবাদৃতার প্রেমে সায় রয়েছে দুই পরিবারের। পরস্পরের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও রয়েছে দুজনের। দেবাদৃতার বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় পৌঁছে টলিফোকাস কলকাতাকে রাহুল জানান, ‘আমাদের কাজের যা চাপ থাকে তাতে পরিবারের জন্য সময় আমরা এই উপলক্ষ্যগুলোই পাই। সকালে বাড়িতে মা-কে পুজোর আয়োজনে একটু সাহায্য করলাম। তারপর এখানে এসে এই পরিবেশে সবাইকে দেখতে পাওয়াটাই নিজের ভালো লাগা’।
প্রেমে প্রথম পদক্ষেপ কে নিয়েছিল? দেবাদৃতার কথায়, ‘দু-দিক থেকে মেলামেশা করতে করতে ভালো লাগা তৈরি হয়েছিল। সবটাই মিউচুয়াল। আমার মনে হয়, আমরা এমন একটা স্টেজে ছিলাম যে দুজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তিন-চার মাস পরে মনে হল আরও একটা ধাপ এগোনো যায়। ওইভাবে দিনক্ষণ মনে নেই’। রাহুল বললেন, ‘আমরা নিজেদের কাজের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। সেটা থেকে আমাদের বন্ডিংটা খুব স্ট্রং হয়েছে’।
প্রায় আট-নয় মাস ধরে সম্পর্কে রয়েছেন রাহুল-দেবাদৃতা। দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজেদের প্রেমের গল্প সামনে আনেন তাঁরা। লালে রং মিলান্তি। সিঁদুরে রাঙা দেবাদৃতা, রাহুলের বাহুলগ্না। এমন ছবি পোস্ট করে রাহুল লিখেছিলেন- ‘আমাদের তরফে আপনাদের শুভ বিজয়া। ভালবাসা নেবেন। গৌরব আলোকে না পেলেও রাহুল দেবাদৃতাকে পেয়ে গিয়েছে।’ তারপর থেকেই টেলিপাড়ায় হইচই এই নতুন জুটিকে ঘিরে।
এর আগে অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায় এবং দুর্নিবার ঘরণী ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রাহুল। প্রেম নিয়ে কোনওদিনই লুকোছাপা করেননি তিনি। তবে আগের সম্পর্ক টেকেনি। অতীত ভুলে দেবাদৃতাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন সাজাচ্ছেন অভিনেতা। প্রেমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাহুল জানান ‘দেবাদৃতা ভীষণ ভালো মেয়ে। খুবই ট্যালেন্টেড। ভীষণ ভালো একজন নৃত্যশিল্পী। সিম্পল, খোলা মনের মানুষ। এটা আমাকে ওঁর প্রতি আকৃষ্ট করেছিল।' দেবাদৃতার বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় সামিল রাহুলের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘ঘরের লক্ষ্মীকে কবে বাড়ি নিয়ে যাবে?’ হাসি মুখে জবাব-'আজকেই তো নিয়ে যাব। তবে ও লক্ষ্মী নাকি দুর্গা! আর আমি মহিষাসুর। বাড়িতে তো আলাপ পরিচয় সবার সঙ্গেই রয়েছে।' আপতত প্রেমে রয়েছেন দুজনে, বিয়ের পরিকল্পনা এখনই নেই।