পুজোয় মুক্তি পায় রক্তবীজ সিনেমা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকে ঘিরে সিনেমা বানিয়েছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার জুটি। এমনিতেই হিট মেশিন হিসেবে ধরা হয় এই দুই পরিচালককে। হামি থেকে বেলা শেষে-- একের পর এক হিট দিয়েছেনয। তবে থ্রিলার বানানো এই প্রথম। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে আবির চট্টোপাধ্যায় ও মিমি চক্রবর্তীকে।
৩০তম দিনে এসেও সিনেমার বেশিরভাগ শো-ই হাউজফুল। যে খবর ভাগ করে নিলেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে পরিচালক বললেন, ‘পঞ্চম সপ্তাহ। ৩০তম দিন। রক্তবীজের হাউজফুলের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এটা ছুটির হাউজফুল নয়। এটা ভালোলাগার হাউজফুল।’
দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শিবপ্রসাদ বললেন, ‘দক্ষিন বঙ্গের লেক মল বা সাউথ সিটি মল হোক বা উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটার, কিংবা পিভিআর ডায়মণড প্লাজা বা ব্যারাকপুরের অথীন্দ্র, সব জায়গায় একই ঘটনা। একবার দেখেছেন এমন মানুষও আবার হলে আসছেন, আগে হয়তো একা বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখেছেন, এবার পরিবারকে নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ তো দুবার দেখে তিনবারও দেখে ফেলেছেন। অনেকের কাছেই এটা নেশার মতো হিয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই বিশ্বকাপের ফাইনাল! বাংলাদেশে গিয়ে মহা সমস্যায় ইমন, এবার উপায়?
‘সাধারণত থ্রিলার একবার দেখে নিলে তাতে আর সেভাবে কারও উৎসাহ থাকে না। শেষটা জেনে যাওয়ার কারণে চাহিদা ফিকে হয়ে যায়। এই সিনেমাটা অদ্ভুত ব্যাপার। মনে হয় বারবার দেখি। কেউ হয়তো ক্ল্যাইম্যাক্স আবার দেখতে গিয়েছেন, কেউ বা ভিক্টরদা আর অনুসূয়াদির গল্পটা আবার দেখতে গিয়েছেন। এটা দর্শকদের থেকে বড় পাওনা।’,আরও জানান শিবপ্রসাদ।

৩০তম দিনে এসেও হাউজফুল রক্তবীজ।
শিবপ্রসাদ মনে করছেন, ৩০তম দিনে এসে হাউজফুল হওয়া, আবিরের জন্মদিনের ‘সেরা উপহার’। বললেন, ‘আমার মনে হয় জন্মদিনের সেরা উপহার। হাউজফুল বার্থ ডে। আবির দর্শকদের দিচ্ছেন, দর্শকরাও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন আবিরকে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর এক অষ্টমীর দিনে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে হয়েছিল এই বিস্ফোরণ। এটাই এই ছবির প্লট। যদিও বদলে নেওয়া হয়েছে স্থান-কাল-তারিখ। ছবির বুনোট, আবির-মিমি-ভিক্টরের অভিনয়, টানটান উত্তেজনা মনে ধরেছে দর্শকদের। ছবি কড়া টক্কর দিয়েছে সৃজিতের দশম অবতার আর দেবের বাঘা যতীনকে।