বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৬ই অক্টোবর ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হবে নায়ক। মহাদেব অনলাইন বেটিং মামলায় ইডির নজরে রণবীর কাপুর।
বেআইনি বেটিং প্ল্যাটফর্ম মহাদেব অনলাইনের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার সেরেছেন রণবীর। প্রচার সারার জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন আলিয়ার স্বামী। শুধু রণবীর নন, এই দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র নজরে রয়েছেন একগুচ্ছ বলিউড অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী। আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে একে একে সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিয়ে করেন মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপের কর্ণধার সৌরভ চন্দ্রকর (Sourabh Chandrakar)। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বিলাসবহুল বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন একাধিক তারকা। সেইসময়ই ওই অ্যাপের সাক্সেস পার্টিও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পার্টিতে ঠিক কী আর্থিক লেনদেন হয়েছিল? সেই দিকটাও খতিয়ে দেখতে চায় ইডি।
অনলাইন গেমিংকাণ্ডে গড়াপেটা সম্পর্কে রণবীর কতটা ওয়াকিবহাল? শুধুই কি অ্যাপের প্রচার সেরেছেন তিনি, নাকি শিকড় আরও গভীরে? সে বিষয়েও তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার এই আর্থিক দুর্নীতির মামলার মূল কেন্দ্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেখানেই মহাদেব অনলাইন বুকিং অ্যাপের হেডকোয়াটার। টাকা পাচারের জন্য বস্তিবাসীদের টাকার টোপ দিয়ে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কন্ট্রোল ওই অ্যাপের এজেন্টরা নিয়ে নিতেন, তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে ইডি। 'ভাড়ার অ্যাকাউন্ট' থেকে কাস্টমারের টাকা পৌঁছে দেওয়া হতো সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে। এ ভাবেই বেটিং অ্যাপকে ঢাল করে ভিলাইয়ের এক সামান্য ফলের রস বিক্রেতা সৌরভ চন্দ্রকার ফুলে ফেঁপে উঠেন। করোনার পরই সৌরভের এই কেলেঙ্কারি-কাণ্ড ডানা মেলে। এখন ইডির ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছেন সৌরভ ও তাঁর সহযোগী রাজ গুপ্তা।
দুর্নীতি-কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর এখনও কোনও মন্তব্য করেননি রণবীর। প্রসঙ্গত, আপতত অ্যানিম্যাল-এর প্রচারে ব্যস্ত রণবীর। ‘তু ঝুটি মেয় মক্কার'-এর পর এবার কবীর সিং পরিচালকের ছবিতে দেখা যাবে রণবীরকে। রণবীর কাপুরের পাশাপাশি এই ছবিতে দেখা যাবে অনিল কাপুর, রশ্মিকা মন্দানা, ববি দেওল, পরিণীতি চোপড়া, তৃপ্তি দিমরিকে। এই ছবিটি প্রথমে চলতি বছরের ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে পরে 'অ্যানিম্যাল'-এর মুক্তির দিন বদলে ১ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়েছে। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ না হওয়ার কারণেই এই ছবি মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।